করোনার সাথে যুদ্ধে প্রথম থেকেই সদর্থক ভূমিকা পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর সাথে মিলে করোনা মোকাবিলার পথ দেখানোর চেষ্টায় ব্রতী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘ্রেবেসিয়াস বলেন, "WHO ইবোলা ভ্যাকসিনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং আমরা COVID19 এর জন্যও একই কাজ করছি। পূর্ববর্তী ডাব্লুএইচও এবং অংশীদাররা অন্যান্য করোন ভাইরাসগুলির ভ্যাকসিনগুলির জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে যা করেছে তার কারণে একটি কভিড -১৯ ভ্যাকসিন বিকাশকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘ্রেবেসিয়াস শিশুদের বিষয়ে বেশ চিন্তিত হু বলেই জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, "শিশুরা COVID19 এর কারণে মারাত্মক রোগ এবং মৃত্যুর তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে থাকতে পারে তবে ভ্যাকসিনগুলি দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় এমন অন্যান্য রোগগুলির থেকে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে। যদিও COVID19 খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাগুলিতে বিশেষত বাচ্চাদের জন্য যে মহামারি পড়বে তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।"
করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের বহু দেশে চলছে লক ডাউন। এর ফলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা- বানিজ্য বন্ধ। ফলে বিশ্বের বহু দেশে করোনা ছাড়া ম্যালেরিয়ার মতো অন্যান্য ঔষধের অভাব দেখা দিয়েছে। দেশগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকও। এরকম ২১টি দেশের অভিযোগ রয়েছে বলেই জানা গেছে। WHO-এর আশঙ্কা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকের অভাবে অন্যান্য মহামারি সৃষ্টিকারী অসুখও ফের প্রকট হয়ে উঠবে। যেমন, আফ্রিকার কিছু দেশে মহামারীর আকার নিতে পারে ম্যালেরিয়া।
এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এখনই লকডাউন ছেড়ে বেরোনোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন WHO-এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘ্রেবেসিয়াস। তাঁর মত, করোনার ভয়াবহতা থেকে এত তাড়াতাড়ি নিস্তার মিলবে না। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও রয়েছে।
Social Plugin