আজ সকাল থেকেই ভেটাগুড়ি এবং বাসন্তীর হাট এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবার কাজ চলছে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসােসিয়েশন, দিনহাটা মহকুমা কমিটির উদ্যোগে। 

প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আর্থিক সাহায্য ও সহযােগিতায় দিনহাটার প্রত্যন্ত অঞ্চলের করােনা মহামারীতে দুর্গত এবং দুস্ত পরিবারের কাছে খাদ্য এবং নিত্য প্রয়ােজনীয় সামগ্রী পোঁছে দেওয়া হচ্ছে গত কয়েকদিন থেকেই। 

এখনাে পর্যন্ত বিভিন্ন  এলাকার দুই শতাধিক দুর্গত পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য রয়েছে দিনহাটা ১ নং ব্লকের বড়াে আঁটিয়াবাড়ি 2নং গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত ফরকার বাজার বিস্তীর্ণ এলাকা সহ ২ নং ব্লকের বামন হাট, চৌধুরীহাট, কুর্শাহাট। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুর্গত পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও শৌল বাড়ি ফরকার বাজার এবং দিনহাটা পৌরসভার 1,24, ৪ এবং 16 নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্যা কবলিত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরন করা হয়। আপাতত দিনহাটা মহকুমার প্রায় তিন শত দুর্গত পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেবার প্রস্তুতি সাড়া হয়েছে। 


নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে


নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের whatsapp গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে



আগামীতে প্রয়ােজন মাফিক ধারাবাহিক ভাবে ত্রাণ বণ্টনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার পরিকল্পনা উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসােসিয়েশন, দিনহাটা মহকুমা কমিটির রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি । 

উল্লেখ্য, গত ১৫ ই এপ্রিল উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসেসয়েশনের পক্ষ থেকে করােনা মহামারি মােকাবেলায় সংগঠনের নিজস্ব তহবিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল (Chief Minister Relief Fund)-এ এক লক্ষ (1,00000) টাকা প্রদান করা হয়। 

এছাড়াও বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে জেলা এবং রাজ্য ব্যাপী প্রচুর সদস্য/সদস্যা স্থানীয়স্তরে দুর্গত মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। 

দিনহাটা মহকুমা কমিটির সম্পাদক অয়ন সরকার জানিয়েছেন- "শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে শুধুমাত্র পেশাগত স্বার্থেই কাজ করি না;যখনই প্রয়ােজন হয় সমাজের স্বার্থে কাজ করে যাই এবং আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রেখে চলবাে। আমাদের এই কাজে যেমন প্রাথমিক শিক্ষিকা এবং শিক্ষকেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তেমনি বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ও সিভিক ভলান্টিয়ার ভাইয়েরা সহযােগিতা করে চলেছেন। তাদের এবং স্থানীয় মহকুমা ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য। আগামীতেও সর্বস্তরের মানুষের কাছ সহযােগিতা নিয়ে সমাজ কল্যান মূলক কাজ করে চলতে পারবাে বলে প্রত্যাশা রইলাে।"