Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

করোনার মৃদু লক্ষনেও হোম আইসোলেশন নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের


করোনা ভাইরাসের মৃদু লক্ষণ কিম্বা কোভিড ১৯ -র প্রাক উপসর্গ আছে যাদের তাদের হোম আইসোলেশনে থাকার অনুমতি দিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক। এই নয়া নির্দেশিকায় কনটেইনমেন্ট পর্বের জন্য বিশেষ কিছু গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও অতি অল্প লক্ষণ, অল্প লক্ষণের রোগিদের অনুরোধ করা হচ্ছে তাদের সেলফ আইসোলেশনে থাকার অপশন থাকলে তাদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে ৷ ’

খুব মৃদু লক্ষণ চিহ্নিত হলে যদি মেডিক্যাল অফিসার অনুমতি দেয় তাহলে বাড়িতে থাকতে হবে ৷ তবে তার আগে আইসোলেশন এগ্রিমেন্টে আন্ডারটেকিং দিতে হবে ৷

কাকে থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে-
• কোনও রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেলেও চিকিত্‍সকরা যাঁদের উপসর্গকে মৃদু বা প্রি-সিম্পটোম্যাটিক বলে চিহ্নিত করবেন, তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। তবে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

• একজন সেবা প্রদানকারী থাকতে হবে ২৪x৭ জন্য, হোমআইসোলেশন পিরিয়ডে তিনি সব সময় রোগীর অবস্থার বিবরণ হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন

•ওই কেয়ারগিভার বা আয়া এবং রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সবাইকেই চিকিত্‍সকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন প্রফিল্যাক্সিস ওষুধ খেতে হবে।

• আরোগ্য সেতু অ্যাপ সারাক্ষণের জন্য অ্যাক্টিভেট রাখতে হবে। 

•যিনি আক্রান্ত তিনি নিজের অবস্থার পর সবসময় নজর রাখবেন পাশাপাশি ডেলার নজরদারি আধিকারিককে নিজের বিষয়ে জানাবেন ৷ যাতে পরিদর্শক দল তার পরিস্থিতি সম্পর্কে সবটা ওয়াকিবহাল থাকে ৷ 

পাশাপাশি যিনি থাকবেন তাঁরা যেন ত্রিস্তর বিশিষ্ট বিশেষ মাস্ক পরেন ৷ যেটাকে আট ঘণ্টা ব্যবহার করে জীবাণুনাশ করার পর নষ্ট করে দিতে হবে ৷ যাঁরা সেবাপ্রদানকারী তাঁরা যেন যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম পান পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানীয় গ্রহণ করেন ৷ কোনওভাবেই তাঁরা যেন বয়স্ক মানুষদের কাছাকাছি না যান ৷যাঁরা সেবাপ্রদানকারী হবেন তাদের সবর্ক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে তার সঙ্গে হাত সর্বক্ষণ স্বাস্থ্যকরভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে ৷ গ্লাভস পরা ও খোলার সময়ে এই কাজ করতে হবে ৷ তাঁরা অ্যালকোহল থাকা হ্যান্ড স্যানেটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন ৷ তবে যিনি অসুস্থ আছেন তাঁর বডি ফ্লুইড যেন সরাসরি না স্পর্শ করেন সেটা নজর রাখতে হবে ৷ বিশেষত নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় যা নির্গত হয় সেটা যেন কোনওভাবেই স্পর্শ না হয়ে যায় ৷ কেয়ারগিভাররা যেন ডিসপোজেবেল গ্লাভসের ব্যবহার করেন ৷

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে


নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে

নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের whatsapp গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে


স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, রোগীর শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। শুধু রোগীই নয় তাঁর পরিচর্চার দায়িত্বে যিনি রয়েছে সেই আয়া বা কেয়ারগিভারদেরও একইভাবে সতর্ক হতে হবে। কারণ রোগীদের কাছাকাছি থেকে তাঁদের দেখাশোনা করছেন যাঁরা, তাঁদের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
কী কী উপসর্গ দেখা দিলে সাবধান হতে হবে—
১) শ্বাসের সমস্যা। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে যদি বেশি সমস্যা হয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় তাহলে সতর্ক হতে হবে।
২) বুকে ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা
৩) মানসিক যে কোনও সমস্যা, স্ট্রেস, ঘুমের সমস্যা অথবা অবসাদ
৪) মুখ ও ঠোঁটের রঙে বদল, নীলচে ছোপ

এই সমস্ত উপসর্গ দেখা দিলেই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শে ল্যাব টেস্ট করানো জরুরি। উপসর্গ বেশিমাত্রায় হলে হোম-আইসোলেশনের বদলে তখন রোগীকে তার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কোভিড হাসপাতালে বা হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করতে হবে।

Ad Code