করোনা এখন বিশ্বের কাছে আতঙ্কের এক নম্বরে। করোনা সংক্রমণের জেরে সারা বিশ্বের বিভিন্নদেশে চলছে লক ডাউন। ভারতেও চলছে লকডাউন। করোনার থাবা থেকে রেহাই পেতে ঘরবন্দি মানুষ। তৎপর রাজ‍্য থেকে কেন্দ্র। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন থেকে লোকাল সংগঠনগুলোও। কেন্দ্রের নির্দেশমতো ৩রা মে পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে লক ডাউন। 

এদিকে, সোমবার কেন্দ্রের তরফে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছে পর্যবেক্ষক। এর জেরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায় ও রাজ‍্যের মুখ‍্যসচিব। 

এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ‍্যের বহু রাজনৈতিক নেতৃত্ব। জানা গেছে, করোনা আবহে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে দুপুর ১টায় কথা বলেন অমিত শাহ। কিন্তু কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে চলে আসে সকাল ১০.১০ মিনিটে। কেন্দ্রীয় দল আসার মাত্র ৩০ মিনিট আগে মুখ্যসচিবের কাছে কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে চিঠি আসে। আগে না জানিয়ে দল পাঠানো প্রতিষ্ঠিত রীতির পরিপন্থী।

করোনা আবহে রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আসা নিয়েও ট্যুইট করেন রাজ্যপালও। ট্যুইটারে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, সকলের কাছে আমার আবেদন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনকে সমর্থন করুন। মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সহযোগিতা করা হোক, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় থাক, বিরোধিতা নয়।

এদিকে, অসহযোগিতার অভিযোগে রাজ্যকে কড়া চিঠি দিল কেন্দ্র। চিঠিতে রাজ্যকে সমস্ত সহযোগিতা করতে হবে, কেন্দ্রীয় প্রিতিনিধি দলের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে। সহযোগিতা করা হচ্ছে না কলকাতা-জলপাইগুড়িতে। পরির্দশনে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে।

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা চিঠিতে জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, ২০০৫ এর ৩৫নং ধারা মেনেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।