ফাইল ছবি 
অবশেষে আশঙ্কাই সত্য হল। চাল-আলু বিতরণ করতে গিয়ে সরকারি কোপে পরলেন দুই প্রধান শিক্ষক। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।

সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথম দুদিন অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গল(23-24 march) চাল এবং আলু বিতরণের কথা ছিল, কিন্তু পরবর্তী আরেকটি নির্দেশিকা অনুযায়ী সোমবার বেলা তিনটার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে  শুধুমাত্র অভিভাবকদের আসার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কিছু জায়গায় কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক গন অতি উৎসাহিত হয়ে বিদ্যালয় জমায়েত করেন।

অপরদিকে শিক্ষা দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে, চাল ও আলু বিতরণ করতে গিয়ে কোথাও যেন বেশি জমায়েত না তৈরি করা হয়। একসঙ্গে যাতে না ভিড় হয় এবং পরিকল্পনা মাফিক যাতে মিড ডে মিল হিসাবে ঐ চাল ও আলু বিতরণ করা হয় তার জন্য দরকার পড়লে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে উল্লেখ করা ছিলো কোন ছাত্র-ছাত্রী যেন উপস্থিত না থাকে। 

অপর দিকে এই নির্দিশিকাকে ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষক তথা বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। তাঁরা জানিয়েছেন যে,মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জমায়েত বন্ধ রাখার কথা বলেছেন। অথচ শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে এসে এই মিড ডে মিল দেওয়া এবং অভিবাবকদের জমায়েত করানো তো পক্ষান্তরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করার শামিল। এর বিকল্প কোনও পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মনে করে শিক্ষক সংগঠনগুলি।

শিক্ষক সংগঠন APGTWA এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে " বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের জমায়েত না হওয়ার জন্য কোন প্রচার করা হয়েছে কিনা সেটা না জেনেই প্রধান শিক্ষক বদলির ব্যাপারটা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে আমরা  প্রশাসনকে বলবো যে যদি কোন অভিভাবক ও বিনা কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসেন কিনা সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার জন্য। অর্থাৎ এই দায় যদি সম্পূর্ণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বা প্রধান শিক্ষকদের উপর দেওয়া হয় তা যথেষ্ট নিন্দনীয়।"  এই সাথে আরও জানান- "সকলের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আগামী কিছুদিন যতটা পারেন সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনটেন করে চলুন। সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন কামনা করছি।"

আরও পড়ুনঃ প্রথম থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই পাসের সিদ্ধান্ত