বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী

চোখের ভেতর নিটোল দীর্ঘনিশ্বাস ;
অলক্ষ্যে উঁকি দেয় বিদায়-বিদীর্ণতা।
আওয়াজে সক্ষমতা বজিয়ে রাখলেও
অক্ষম মনখারাপ যেন নির্মম চোরাবালি।

একটা পাতার পুড়ে যাওয়া শরীরের স্বীকারোক্তি কেউ পড়তে চায় না ; শুনতে চায় না।
অথচ, মদই মাতালের ক্লোরোফিল ;
প্রেমিকাই ছেলেদের পর্যাপ্ত জল-উচ্ছাস ;
বাবার ছোঁয়াই মায়ের একমাত্র স্পর্শবায়ু।

চোরাবালির ভেতর শরীর শূন্যতা ;
আদরহীন একটা বুকের আত্মকথা ।
বিবাদের রঙে দোল খেলা হবে,
অবয়বের সাথে বেড়ে উঠবে সখ্যতা।
বন্ধুর সংখ্যায় ভাঁটা পরেছে,
কবিতার সংখ্যা বাড়ছে নিভৃতে।
যত্নের ভেতর বিরক্ত পাচ্ছে নারী,
হাত তো হাতকড়া নয়,
ছুঁতে গেলেই ভয় পাচ্ছ কেনো তবে আজকাল?

ব্লাউজের হুক খুললেই
দেখতে পেতাম একটা গভীর দাগ ;
দাগের প্রান্তে একটা প্রেম ;
প্রাক্তন নামের ক্ষত।
যেটা নেই তা হল উর্বরতাশক্তি;
পচন সবসময় দৃশ্যমান নাও হতে পারে প্রিয়।

ঘড়ির কাঁটা আর প্রেমের সম্পর্ক - ব্যাস্তানুপাতিক ;
সময় বাড়লে আকর্ষণ কমতে থাকে।
কম সময়ের ব্যাবধানে গভীর একটা আদর (স্বচ্ছ)।

সোজা-বাঁদিক-ডানদিক-আবার বাঁদিক-
তারপর বাঁহাতেই একটা দোকানে
কবির সাথে বুধবার আলোচনা ;
উত্থান-পতন।
নিমজ্জন-উজ্জীবন।

অভাববোধে একটা বুক প্রয়োজন ;
খোলা না হলেও চলবে।
পারফিউমে উগ্রতা ;
অবিকল একটা রাই-বিপরীত অঙ্গ চাই।
মেদহীন ; যার ঠোঁট কামরানোর স্বভাব নেই।

বিশেষত শোয়ার পরে যার কাছে থেকে যাওয়ার দাবি রাখবো না কিংবা, একদফা কেঁদে বলবো না থেকে যাও কিছুক্ষন আর ; কিছুদিন আর।