সেনাবাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এখনও পুরুষ তান্ত্রিক মধ্যযুগিয় সময়কেই আঁকড়ে ধরে রয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সহমত নয় দিল্লি হাইকোর্ট। এবার দিল্লি হাইকোর্টকে সমর্থন করে রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত । স্বাধীনতার ৭০ বছর পর একেবারে ঐতিহাসিক রায়।
সেনাবাহিনীতে স্থায়ীপদে মহিলাদের নিয়োগ করতে হবে। কেন্দ্রের সরকার কোনওভাবেই এক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মদক্ষতাকে যেমন ছোট করতে পারে না। তেমনই সংবিধান বিরুদ্ধ কাজও করতে পারে না। এতদিন মহিলারা শর্ট সার্ভিস কমিশনে চাকরি পেতেন। এক্ষেত্রে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সরকারকেও তার মানসিকতা বদল করার কথা বলল আদালত।
এদিন সু্প্রিমকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র এতদিন সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য করে গিয়েছে যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪ ও ১৬ ধারার পরিপন্থী। তাই কেন্দ্রকে এই ধারণা থেকে সরতে হবে এবং এই মুহূর্তে যেসব মহিলা কর্মীরা সেনাবাহিনীতে রয়েছেন, তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র দিতে হবে।
২০১০-এ যখন দিল্লি হাইকোর্ট সেনাবাহিনীতে স্থায়ীভাবে মহিলাদের নিয়োগের রায় দিল তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেই রায় মানতে নারাজ ছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আজকের সুপ্রিম রায় কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টকেই সমর্থন করল।
SC says that the contentions of centre, regarding the issue of physiological limitations & social norms to deny an opportunity to women officers is disturbing & can't be accepted.— ANI (@ANI) February 17, 2020
Also says - Centre, by not giving permanent commission to women officers, had prejudiced the case. https://t.co/XvaHS4MNKy
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগকে সমর্থন করেন। ২০১৮-র স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। এতদিনে সেই ফল ফলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Social Plugin