গৌতম সাহা,কোলকাতাঃ
মানব কল্যান জনক কাজে নিয়োজিত হয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল UUPTWA সংগঠন।বেশ কয়েকদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রাথমিক শিক্ষক পিন্টু মাঝির পরিবারের পাশে বেনজির ভাবে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন UUPTWA নেতৃত্ত্ব তথা হাজার হাজার উস্থিয়ান শিক্ষক-শিক্ষিকা।পিন্টুবাবু হুগলী জেলার ঘোলদিগরুই ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এই জেলার পুরশুড়া ব্লকের গোপীমোহনপুর নামে
মানব কল্যান জনক কাজে নিয়োজিত হয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল UUPTWA সংগঠন।বেশ কয়েকদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত প্রাথমিক শিক্ষক পিন্টু মাঝির পরিবারের পাশে বেনজির ভাবে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন UUPTWA নেতৃত্ত্ব তথা হাজার হাজার উস্থিয়ান শিক্ষক-শিক্ষিকা।পিন্টুবাবু হুগলী জেলার ঘোলদিগরুই ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। এই জেলার পুরশুড়া ব্লকের গোপীমোহনপুর নামে
এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার বাসস্থান।মা,বাবা ও সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে তার সুখের সংসার গড়ে উঠেছিল।মাত্র ৮ দিন আগে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।কিন্তু গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে তিনি তার মটর বাইকটি নিয়ে একটি কাজে বেরিয়েছিলেন এবং সেদিনই কুয়াশা জনিত কারণে তার সঙগে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে তিনি দুর্ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান এবং মৃত্যুর সঙগে পাঞ্জা লড়তে থাকেন।এতবড় দুর্ঘটনার পরে ভর্তি নিতে চাননি স্থানীয় হাসপাতাল,পাঠানো হয় কোলকাতার বড় হাসপাতালে।তবে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোঠারি হাসপাতালে।সেখানকার শল্য চিকিৎসকরা জানান অবিলম্বে তার ক্ষত স্থানে বড় ধরনের অপারেশান না করালে তাকে বাঁচানো যাবে না এবং এরজন্য লাগবে কমপক্ষে ৪ - ৫ লাখ টাকা। আকাশ ভেঙে পড়ে তাদের পরিবারের কাছে।
পরিবারের একমাত্র রোজগেরের এহেন দুর্ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার।এতটাকা পাবেন কোথায় বা জোগাড় করবেন কোথা থেকে?এসময় দেবদূতের মতো পিন্টু বাবুর পরিবারের পাশে হাজির হন UUPTWA এর হুগলী জেলা নেতৃত্ত্ব।তাদের ভরসায় শুরু হয় আপদকালীন চিকিৎসা ও তার পরেই জটিল অপারেশান।সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় UUPTWA সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ত্বের কাছে।আর এরপরেই ফেসবুকের মাধ্যমে অার্থিক সাহায্যের জন্য মানবিক আবেদন করেন UUPTWA সংগঠনের সভাপতি। তারপরেই ঝড়ের বেগে সেই আবেদন পৌছে যায় সংগঠনের হাজার হাজার সমর্থকের কাছে, ঘটে যায় মিরাক্যাল, মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ২,৫০,০০০/- জমা হয় পিন্টু বাবুর বন্ধু সৌমেন বাগের একাউন্ট পাশবুকে।
সেখান থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয় সেই টাকা।শুধু টাকা দিয়েই নয়, সংগঠনের সদস্য শিক্ষকরা তার পরিবারের পাশে নিকটাত্মীয় হয়ে দিনরাত এক করে হাসপাতালে থাকছেন এবং ভরসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।তবে তার মস্তিষ্কের ক্ষত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দশ বারো ঘন্টা জ্ঞানশূন্য থাকার পর এই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কের কঠিন অপারেশন করতে হয়।এখনও পর্যন্ত তাকে আই.সি.সি.ইউ তে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়েছে।এখনো পিন্টু বাবু কাউকে ভালো ভাবে চিনতে পারছেন না।আজ ডাক্তার বাবুরা চেষ্টা করেও তাকে আই.সি.সি.ইউ থেকে বার করে জেনারেল বেডে নিয়ে আসতে পারেননি।তবে তারা আশা করেছেন আগামী আরো দু-একদিন আই.সি.সি.ইউ তে রেখে দিলে হয়তঃ তিনি বিপদমুক্ত হবেন।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। এই রকম অভুতপূর্ব বিপুল সাহায্য পেয়ে পিন্টু বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষকাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন
হতে ক্লিক
করুন- CLICK
|
আমাদের হোয়াটসয়াপ
গ্রুপে যুক্ত হতে
ক্লিক করুন- CLICK
|
যে কোন সংবাদ,
লেখা পাঠান
sangbadekalavya@gmail.com
|
বিজ্ঞাপন দিতে কথা
বলুন- 96092 21222
|
পরিবারের একমাত্র রোজগেরের এহেন দুর্ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার।এতটাকা পাবেন কোথায় বা জোগাড় করবেন কোথা থেকে?এসময় দেবদূতের মতো পিন্টু বাবুর পরিবারের পাশে হাজির হন UUPTWA এর হুগলী জেলা নেতৃত্ত্ব।তাদের ভরসায় শুরু হয় আপদকালীন চিকিৎসা ও তার পরেই জটিল অপারেশান।সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় UUPTWA সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ত্বের কাছে।আর এরপরেই ফেসবুকের মাধ্যমে অার্থিক সাহায্যের জন্য মানবিক আবেদন করেন UUPTWA সংগঠনের সভাপতি। তারপরেই ঝড়ের বেগে সেই আবেদন পৌছে যায় সংগঠনের হাজার হাজার সমর্থকের কাছে, ঘটে যায় মিরাক্যাল, মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ২,৫০,০০০/- জমা হয় পিন্টু বাবুর বন্ধু সৌমেন বাগের একাউন্ট পাশবুকে।
সেখান থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয় সেই টাকা।শুধু টাকা দিয়েই নয়, সংগঠনের সদস্য শিক্ষকরা তার পরিবারের পাশে নিকটাত্মীয় হয়ে দিনরাত এক করে হাসপাতালে থাকছেন এবং ভরসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।তবে তার মস্তিষ্কের ক্ষত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দশ বারো ঘন্টা জ্ঞানশূন্য থাকার পর এই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কের কঠিন অপারেশন করতে হয়।এখনও পর্যন্ত তাকে আই.সি.সি.ইউ তে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়েছে।এখনো পিন্টু বাবু কাউকে ভালো ভাবে চিনতে পারছেন না।আজ ডাক্তার বাবুরা চেষ্টা করেও তাকে আই.সি.সি.ইউ থেকে বার করে জেনারেল বেডে নিয়ে আসতে পারেননি।তবে তারা আশা করেছেন আগামী আরো দু-একদিন আই.সি.সি.ইউ তে রেখে দিলে হয়তঃ তিনি বিপদমুক্ত হবেন।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। এই রকম অভুতপূর্ব বিপুল সাহায্য পেয়ে পিন্টু বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষকাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পিন্টু বাবুর সুচিকিৎসার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি টাকা জমা হয়েছে।যে টুকু শোনা যাচ্ছে আরো প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকা আর্থিক সাহায্য নিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।তবে আজ বিকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে নতুন করে আর কোন অার্থিক সাহায্য না পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।এরকম ঘটনা বোধহয় ইতিহাসে বিরল,বেনজির।
এই ভাবে এত তাড়াতাড়ি বোধহয় কোন শিক্ষকের পাশে মানবিক সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর নজির নেই।মাত্র দুবছরের এই শিক্ষক সংগঠনটি তাদের নাম অর্থ্যাৎ Usthi united primary teachers wealfare association নামের সঙগে সুবিচার করল।কারণ শুধুমাত্র শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা নিয়ে লড়াই,সংগ্রাম করার জন্যেই সংগঠনটির জন্ম হয়নি পরন্তু শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যানজনক কাজকর্মে নিয়োজিত হতেই তাদের আত্মপ্রকাশ। তাই বেতন বঞ্চনার লড়াইের সাথে লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক,শিক্ষিকার পাশে মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চান সংগঠনের নেতৃত্ত্ব।এর আগেও এই রকম বহু কাজে সংগঠন এগিয়ে এসেছিল তাদের মানবিক সাহায্যের ঝুলি নিয়ে।আগামিদিনেও এরকম কাজে এগিয়ে আসবেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
Social Plugin