![]() |
Pic source: cpbu.ac.in |
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনেকড় বুধবার টুই্যট করেন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রন জানানো হয়য়নি। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের দাবি তিনি রাজ্যপালকে চিঠি করেছেন কিন্তু কোনোরুপ উত্তর পাননি। এর জেরেই সংঘাত চরমে। শোকজ করা হয়েছে উপচার্যকে।
১৪ই ফেব্রুয়ারী কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের চেয়ারম্যান,তিনি আচার্য অথচ তিনি জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন শুক্রবার। এছাড়াও, সমাবর্তন কার্ডে আচার্যের নাম নেই কিন্তু রাজ্য মন্ত্রীসভার চারজনের নাম রয়েছে। যেহেতু তিনি আচার্য, উপচার্যের উচিত উচ্চ শিক্ষা দপ্তর মারফত তাঁকে জানানো। কিন্তু জানানো হয়নি। রাজ্য সরকার বিধি বদল করলেও জানানো উচিৎ ছিল রাজ্যপালকে। এক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।
উপাচার্য যদি কোনোরকম ভুল করেন সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বা শোকজ করতে পারেন আচার্য। সেইমতোই রাজ্যপাল জগদীপ ধনেকড় উপাচার্যকে শোকজ করেছেন। ১৪দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ২৮শে ফেব্রুয়ারী উপস্থিত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সমাবর্তনে আচার্যের সম্মতি নেই সেইদিক থেকে কিভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে অনড়। তিনি বলছেন, রাজ্য বিধি বদল করলেও নিয়ম মেনেই আচার্যকে আমন্ত্রন করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার টুই্যটের পরেও উপাচার্য বলেছেন তিনি সঠিক সময়েই উত্তর দেবেন। তবে, আচার্য উপস্থিত থাকছে কিনা তা নিয়ে কোনোকিছু না জানা গেলেও আচার্য উপস্থিত না থাকলে নিয়ম মতো উপচার্য সমাবর্তন পরিচালনা করবেন।
উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "শোকজের কাগজ হাতে পাননি।" শুক্রবারই হতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। যদি কাগজ আসে তবে, ১৪দিনের সময় দেওয়া হয়েছে এর মধ্যেই তিনি তাঁর উত্তর দেবেন।
শুক্রবার উৎসব অডিটোরিয়ামেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -
Social Plugin