স্বর্ণলতা রায়কে চিঠি - ৪
রানা সরকার
কিছু লিখলেই তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে
স্বর্ণলতা রায়; ডায়েরির প্রথম পাতা থেকে
কলমের দীর্ঘশ্বাসের প্রত্যেকটা বিরাম চিহ্নতে
শুধু তুমি স্বর্ণলতা রায়। কই তুমিতো মাথা তুলে,
চোখ মেলে একবারও দেখলে না, এগিয়ে এলে না।
অভিমানী আগুন জ্বলছে, বিরহ বাড়ছে
ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে। মন খারাপ হলেই
বেরিয়ে পড়ি কুয়াশা মোড়া সকালে পাহাড়ি
রাস্তাতে। না, উলের প্রয়োজন নেই।
অসুখ হলে আজকাল ভীষণ ভালো থাকি;
অভিযোগ করবো সেই সাধ্য নেই, বোধ হয়
অধিকারও নেই; তবুও বলি ফিরে এলে
জানালা খুলে দিও; এক ফালি রোদ আসুক
চোখ-মুখে, পিঠ-বুকে আর হৃদয়ে সূর্য লাগুক।
লগ্ন ভ্রষ্ট প্রেমিকারও পাত্রের অভাব নেই
আর আমি এই খোসামুদের বাজারে
সস্তা হতে হতে খেয়াল করিনি আমাকে
অতিক্রম করে পৌঁছে গেছে বহু গণ্যমান্য!
যতবারই পায়ে পায়ে তোমার পাশে হেঁটেছি
তুমি ছুটেছো মরুদ্যানের মরিচিকার দিকে।
হয়তো তুমি একদিন ঠিক পেয়ে যাবে জল,
কিন্তু আমি, আমি খসে পড়ছি রাতের আকাশ
থেকে বাতিল তারার মতোন; হয়তো এভাবেই
হারিয়ে যাবো তোমার হৃদয়ের মফস্বল থেকে!
তুমি বলেছো চাকরির ভীষণ প্রয়োজন
আমিও জানি চাকরির ভীষণ প্রয়োজন।
:"কবিতা টবিতা পরেও হবে!" বিশ্বাস করো
প্রথম দিনেও কবিতা লিখতে পারিনি
আমি আজও কবিতা লিখতে পারিনি।
তবুও মাটি আকাশ নদী পাহাড় আমায়
করূণ চেয়ে মঙ্গলগাঁথা গোপনে রাখে গাছের পাতায়
আর আমি গাছকে ভীষণ ভালোবাসি
ঠিক ততটাই যতটা তোমায় ভালবাসি
তাইতো ডায়েরি জুড়ে গাছ আর তুমি
তুমি আর গাছ শুধুই তুমি-গাছ।
আজকাল মিছিলে ঘুরতে শুরু করেছি
স্লোগানেও ভুলভাল বিলাপ বকছি
জ্বরকেও অতিক্রম করছি
কিছুই ভাল্লাগছেনা; স্বর্ণলতা রায়!
আমি যে শূন্য থেকে শূন্যতর হয়ে পড়ছি
পাথর হতে গিয়ে মাটি হয়ে যাচ্ছি
তবুও কি তোমার কোনো দায় নেই স্বর্ণলতা রায়?
ইতি
তোর বন্ধু পৃথ্বীরাজ
পুনশ্চঃ আমি এখনো একটিও কবিতা লিখতে পারিনি
সম্পূর্ণ ডায়েরি জুড়ে রয়েছে শুধু স্বর্ণলতা গাছের কাহিনী
রানা সরকার
কিছু লিখলেই তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ে
স্বর্ণলতা রায়; ডায়েরির প্রথম পাতা থেকে
কলমের দীর্ঘশ্বাসের প্রত্যেকটা বিরাম চিহ্নতে
শুধু তুমি স্বর্ণলতা রায়। কই তুমিতো মাথা তুলে,
চোখ মেলে একবারও দেখলে না, এগিয়ে এলে না।
অভিমানী আগুন জ্বলছে, বিরহ বাড়ছে
ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে। মন খারাপ হলেই
বেরিয়ে পড়ি কুয়াশা মোড়া সকালে পাহাড়ি
রাস্তাতে। না, উলের প্রয়োজন নেই।
অসুখ হলে আজকাল ভীষণ ভালো থাকি;
অভিযোগ করবো সেই সাধ্য নেই, বোধ হয়
অধিকারও নেই; তবুও বলি ফিরে এলে
জানালা খুলে দিও; এক ফালি রোদ আসুক
চোখ-মুখে, পিঠ-বুকে আর হৃদয়ে সূর্য লাগুক।
লগ্ন ভ্রষ্ট প্রেমিকারও পাত্রের অভাব নেই
আর আমি এই খোসামুদের বাজারে
সস্তা হতে হতে খেয়াল করিনি আমাকে
অতিক্রম করে পৌঁছে গেছে বহু গণ্যমান্য!
যতবারই পায়ে পায়ে তোমার পাশে হেঁটেছি
তুমি ছুটেছো মরুদ্যানের মরিচিকার দিকে।
হয়তো তুমি একদিন ঠিক পেয়ে যাবে জল,
কিন্তু আমি, আমি খসে পড়ছি রাতের আকাশ
থেকে বাতিল তারার মতোন; হয়তো এভাবেই
হারিয়ে যাবো তোমার হৃদয়ের মফস্বল থেকে!
তুমি বলেছো চাকরির ভীষণ প্রয়োজন
আমিও জানি চাকরির ভীষণ প্রয়োজন।
:"কবিতা টবিতা পরেও হবে!" বিশ্বাস করো
প্রথম দিনেও কবিতা লিখতে পারিনি
আমি আজও কবিতা লিখতে পারিনি।
তবুও মাটি আকাশ নদী পাহাড় আমায়
করূণ চেয়ে মঙ্গলগাঁথা গোপনে রাখে গাছের পাতায়
আর আমি গাছকে ভীষণ ভালোবাসি
ঠিক ততটাই যতটা তোমায় ভালবাসি
তাইতো ডায়েরি জুড়ে গাছ আর তুমি
তুমি আর গাছ শুধুই তুমি-গাছ।
আজকাল মিছিলে ঘুরতে শুরু করেছি
স্লোগানেও ভুলভাল বিলাপ বকছি
জ্বরকেও অতিক্রম করছি
কিছুই ভাল্লাগছেনা; স্বর্ণলতা রায়!
আমি যে শূন্য থেকে শূন্যতর হয়ে পড়ছি
পাথর হতে গিয়ে মাটি হয়ে যাচ্ছি
তবুও কি তোমার কোনো দায় নেই স্বর্ণলতা রায়?
ইতি
তোর বন্ধু পৃথ্বীরাজ
পুনশ্চঃ আমি এখনো একটিও কবিতা লিখতে পারিনি
সম্পূর্ণ ডায়েরি জুড়ে রয়েছে শুধু স্বর্ণলতা গাছের কাহিনী
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊