সুজয় রায় ও অনুপম মোদকঃ
শুরুটা হয়েছিল গতবছর, কিছু প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে। তাদের স্বাভাবিক আড্ডায় হঠাৎ করেই উঠে এসেছিল দৈনন্দিন একঘেয়ে জীবন থেকে একটু আনন্দ খোঁজার চেষ্টা। সবাই মিলে ঠিক করে নিজেদের পুরনো বিদ্যালয়ে একটা পূনর্মিলন উৎসব করলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী অনির্বাণ নাগ মহাশয় কে জানাতেই তিনি সানন্দে সায় দেন। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। সবাইকে সেভাবে না পাওয়া গেলেও গুটি কয়েক প্রাক্তন ছাত্রদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল প্রথম বারের "প্রাক্তনী পূনর্মিলন উৎসব 2019"। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ও তাদের পূনর্মিলনের আনন্দদায়ক মুহূর্ত গুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। উপরি পাওনা হিসেবে ছিল বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকমন্ডলীর সাথে প্রাক্তন প্রায় সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের উপস্থিতি।
প্রথম বারের মতো জমকালো না হলেও এই বছরও সবার উৎসাহে এবং অনুরোধে একই দিনে পালিত হল প্রাক্তনদের পূনর্মিলন উৎসব 2020। বিভিন্ন কারনে এবারের অনুষ্ঠানের আকার অপেক্ষতাকৃত ছোট হলেও প্রাক্তন দের উৎসাহে এতটুকুও ভাটা ছিল না।
উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রথমে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় প্রাক্তনদের অনুষ্ঠান। নাচ, গান প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণার মাধ্যমে জমজমাট অনুষ্ঠান হয়। প্রাক্তন ছাত্র শ্রী শুভেন্দু চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অভিনীত হয় নাটক "শেষ পরিণতি"।
অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের হাতে একটি অভিযোগ কাম পরামর্শ বাক্স তুলে দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক ২০০২ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় একটি ডিজিটাল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় যার উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী সন্তোষ মুখার্জি মহাশয়।
সদ্য প্রাক্তন যুবা ছাত্রদের সাথে পাল্লা দিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন জীবনের মধ্যগগনে পৌঁছানো প্রাক্তনরাও। সকলেই তাঁদের পুরনো বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা মারে। দেখা করে পুরনো শিক্ষক-শিক্ষিকা দের সাথে। ছাত্রছাত্রী দের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয় রাও খুশি বহুদিনের পুরনো প্রিয় ছাত্রছাত্রী দের সামনে পেয়ে। প্রাক্তনদের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতি বছর এই পূনর্মিলন অনুষ্ঠান হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊