দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের স্মরণ বক্তৃতায় নাম না করেই সিএএ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বার্তা দিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ।
দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও পরিবেশ রক্ষার জন্য এদিনও বারবার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে মজবুত করার কথা বলেন প্রণববাবু।
নির্বাচন কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটরস জেনারেলের মতো প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করা কতটা জরুরি তা ফের ব্যাখ্যা করেন। সেই সঙ্গে বলেন, প্রতিষ্ঠান নিজে থেকে নিরপেক্ষভাবে চলতে পারে না। প্রতিষ্ঠান যাঁরা চালান তাঁদের উপরেই সবটা নির্ভর করে। সুতরাং এই মহান দায়িত্বের কথা তাঁদের সর্বদা মনে রাখতে হবে।
সেইসঙ্গে বলেন, ভারতের মতো বৈচিত্রে ভরা দেশে প্রথমবার ভোট করানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটা দেশের মধ্যে যেন অনেক দেশ। স্কটল্যান্ডকেও ব্রিটেন তাদের সঙ্গে একাত্ম করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু একই নির্বাচনের মাধ্যমে পাঞ্জাবের সঙ্গে মাদ্রাজকে বাঁধতে পেরেছে ভারত। অথচ প্রথম চারটি সাধারণ নির্বাচনের পরেও অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক রাজনৈতিক পণ্ডিত মনে করেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্রের অন্তিমকাল আসন্ন। কেউ বলেছিলেন, নেহরুর মৃত্যুর পরই ভারতে স্বৈরাচারী শাসন মাথা তুলবে। তবে ভারতীয়রা নিজেরাই নিজেদের আগামী তৈরি করে নিয়েছে।
Former President Pranab Mukherjee, in Delhi: Their assertion and belief in the Constitution of India are particularly heartening to see. Consensus is the lifeblood of democracy. Democracy thrives on listening deliberating, discussing, arguing, even dissenting. https://t.co/oypqMFKZUp— ANI (@ANI) January 23, 2020
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন যে প্রত্যাহার করা হবে না, তা কয়েকদিন আগেই অমিত শাহ বলেছেন। এদিন প্রণববাবু যেন তারই জবাব দিলেন, “আলোচনা, বিতর্ক, সহিষ্ণুতার সঙ্গে শোনা, আপত্তি জানানো—এসবে গণতন্ত্র আরও মজবুত হয়। আমি মনে করি মোটামুটিভাবে যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এখন গোটা দেশজুড়ে চলছে তা গণতন্ত্রের শিকড়কে আরও মজবুত করবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊