নাগরিকত্ব বিল নাগরিকত্ব আইনে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার ছবি ফুটে উঠছে সারা দেশে। বাদ যায়নি বাংলাও। এই আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বহু মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। 

এদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদী টুই্যট করে জানিয়েছেন, “নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে সহিংস বিক্ষোভ দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীরভাবে বেদনাদায়ক।

বিতর্ক, আলোচনা এবং মতবিরোধ গণতন্ত্রের অপরিহার্য অঙ্গ তবে এর আগে কখনও জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি হয় নি এবং সাধারণ জীবনের বিপর্যয় আমাদের নৈতিকতার একটি অংশ ছিল না।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, ২০১৯ সংসদের উভয় সভায় অপ্রত্যাশিত সমর্থন দিয়ে পাস হয়েছে। বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দল এবং সংসদ সদস্যরা এর বিলকে সমর্থন করেছেন। এই আইনটি ভারতের  শতাব্দীর স্বীকৃতি, সম্প্রীতি, মমতা এবং ভ্রাতৃত্বের সংস্কৃতি তুলে ধরে।

আমি আমার সহকর্মী ভারতবাসীদের দ্ব্যর্থহীনভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে সিএএ কোনও ধর্মের, ভারতের কোনো নাগরিককে প্রভাবিত করে না। এই আইনটি নিয়ে কোনও ভারতীয়কেই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এই আইনটি কেবল তাদের জন্য যারা বহু বছরের বাইরে অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ভারত ছাড়া আর কোনও জায়গা নেই।

সময়ের প্রয়োজন আমাদের সকলের উচিত ভারতের বিকাশ এবং প্রতিটি ভারতীয়, বিশেষত দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করা। আমরা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলিকে আমাদের ভাগ করতে এবং ঝামেলা তৈরি করতে দিতে পারি না।

এটাই সময়, শান্তি, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার। সকলের কাছে আমার আবেদন যে কোনও ধরণের গুজব ছড়িয়ে দেওয়া এবং মিথ্যাচার থেকে দূরে থাকুন।“