বেঁচে থাকা কমপ্লিট ইলিউশন ২
-বাপ্পাদিত্য
ভোর থেকে রাত এক অদ্ভুত চলাচল, চলতে চলতে নিমজ্জনের দিকে এগিয়ে যাই রোজ।
রাত গিলতে গিলতে ছত্রাক ছিটিয়ে রাখি প্রেমিকার শরীরে, গলার নালী থেকে বেরিয়ে আসে আস্ত অন্ধকার; অন্ধকার পেরিয়ে পৌছে যাই প্রাচীন স্টেশনচত্তরে... ছিঁড়েখুঁড়ে কিছু অক্ষরমালা গেঁথে রাখি মসৃণ স্তনে। চোখের নীচে জমে থাকা কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরিয়ে আসে সহানুভূতিশীল কাব্য ; তার প্রত্যেক শব্দে নিশব্দ বিষাদ গুজে রাখা বিপ্লব জয় সম্ভব হবেনা-হয়নি কোনোদিন।
সুতরাং, নিশ্বাস-প্রশ্বাস, চুমু-প্রস্থান,ভেঙে যাওয়া ও পুনর্গঠনে আমি বিশ্বাস রাখি না।
আমার পছন্দের মানুষেরা কিংবা, ফানুসেরা উঁড়ে গেছে ভারচুয়াল জগতে রঙবেরঙ ফিঙে হয়ে ; পারফেকশনিস্ট ট্যাগ লাগিয়ে উঁড়ে যাওয়া ফিঙেরা ফিরে আসে বারবার ছোঁয়া পেতে...আমার হাতে জল খেতে আমি তাদের মুখে তুলে দি প্রয়োজনমত অনুতাপ তরল ; তারা আবার উঁড়ে যায় নতুন মালিকের এফিটাফে দস্তাভেজ দিতে।
মৃত্তিকার গায়ে নরম শরীর ঠেকিয়ে সুখটানে ব্রহ্মলোকের খুটিনাটি চর্চা করা বুড়োটা আমার সাথে নির্ভেজাল সরীসৃপের বিষের বিস্তারিত বর্ননা করেছিলো ; সেদিন পরক্ষণেই এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ে গেলো তোমার কথা প্রিয়। আমি কয়েক-ক্রোশ হেঁটে বাড়ি ফিরলাম, পকেটে আধ-ভাঙা করুন সিগারেট মুখে নিয়ে আমি আমি অন্ধকার বেয়ে নীচে নেমে আসি প্রেম নামের কফিনের কাছে, হাঁটু গেড়ে বসি, ফিঙে টা কাছে এসে দাঁড়ায়, আমি নিরর্থক চেয়ে থাকি তারপর ফিরে আসি। চশমাটা পরে যেতে ভুলে গেছি প্রিয়, তোমার মুখ দেখে ঘৃণা নিয়ে ফেরা হলো না আজকেও।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊