ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ একদিনের ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া । জেতার জন্য বিরাট কোহলিদের প্রয়োজন ছিল ৩১৬ রান। টান টান উত্তেজনার ম্যাচ নাটকীয় ভাবে ৮ বল বাকি থাকতেই জিতে নিল ভারত। কটকের বরাবতী স্টেডিয়ামে এই মাঠে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে এটাই সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়।
রবিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ধীরে সুস্থে হয়েছিল। প্রথম ২৫ ওভারে দুই উইকেটে ৯৪ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। ৩০ ওভারে তিন উইকেটে উঠেছিল ১৩৭ রান। সেখান থেকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা পাঁচ উইকেটে ৩১৫ রানে থেমেছিল। নিকোলাস পুরান (৬৪ বলে ৮৯) ও অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডের (৫১ বলে ৭৪) মারমুখী ব্যাটিং তিনশোর বেশি রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল ভারতের সামনে। স্লগ ওভারে এই দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলারদের নির্দয় ভাবে মারতে থাকেন। ৪১ থেকে ৫০, শেষ ১০ ওভারে ওঠে ১১৮ রান। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন পুরান। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা।
বিশাল রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মার হাফ-সেঞ্চুরির দৌলতে প্রথম উইকেটে ভারত তোলে ১২২ রান। ৬৩ বলে ৬৩ করে জেসন হোল্ডারের বলে ক্যারিবিয়ান কিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রোহিত। ২৯.৫ ওভারে ৭৭ রান করে আউট হয়ে যান লোকেশ রাহুলও। তখন ভারতের দলগত রান ১৬৭। এর পর ৭ রানে শ্রেয়াস আইয়ার, ৭ রানে ঋষভ পন্থ আর ৯ রানে কেদার যাদব আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্যপ্রান্তে তখন শক্ত হাতে ম্যাচের হাল ধরেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু ৮১ বলে ৮৫ রানে কিমো পলের বলে বোল্ড হন তিনি। এর পর রবীন্দ্র জাডেজা (৩১ বলে ৩৯ রান) আর শার্দুল ঠাকুর (৬ বলে ১৭ রান) ৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊