"আমি দুঃখ পেয়েছি"  আজ সকালে ট্যুইট বার্তায় জানালেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর ঠাণ্ডা লড়াই ক্রমশ যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে টুইটার ঘিরে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের টুইটার বার্তা নিয়ে সরব হতে দেখে গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে।  

ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি ও ঘনঘন টুইট করায় রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে শান্তিরক্ষার জন্য রাজ্যপালকে রাজ্যের পাশে থাকার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

চিঠি হাতে আসার পর পরোই পাল্টা বিবৃতিতে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে জানিয়েছেন, প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এবং কাজের মধ্যে ফারাক রয়েছে। 

হেলিকপ্টার বিতর্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজভবন ও রাজ্য সচিবালয় , নবান্ন-র মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। যার সাম্প্রতিকতম নিদর্শন মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল ও রাজ্যপালের টুইট। এই অবস্থায় রাজ্যপালকে আচরণ সংযত করার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, যেভাবে রাজভবনের পক্ষ থেকে সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে, তাতে রাজ্যের অফিসারদের খারাপ লাগছে। এরপরেই রাজ্যপালকে শান্তিরক্ষায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরপরই ফের সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সকালেই যিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলার জন্য রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনিই রাতে ট্যুইট করলেন ২০০৫ সালে এন আর সি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরব হওয়ার ভিডিও সাথে ২০১৯ এ এন আর সির বিরোধিতার ভিডিও-https://www.facebook.com/TheFrustratedBengali/videos/575250406640972/ ।


আজ সকালে ফের রাজ্যপাল ট্যুইট বার্তায় জানান- আমি দুঃখ পেয়েছি- কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কামনা করার জন্য জনসাধারণের জনপ্রিয়তা অর্জনের  যে পন্থা অবলম্বনের সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য অসাংবিধানিক পথ অবলম্বন করেছেন এবং আমার আবেদন অগ্রাহ্য করেছেন। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোর অগাধ ক্ষতি সাধন করেছে।