প্রতীকী ছবি 
বুলবুল বিপর্যস্ত এলাকার মানুষেরা যাতে নতুন করে আবার নিজেদের সংসার পুনর্নির্মাণ করতে পারেন, তার জন্য সরকারের তরফ থেকে একর্টি ডিগনির্টি কিট' দেওয়া হচ্ছে।  আর এই কিট দিতে গিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। 

বিডিও অরিন্দম মুখােপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে সমালােচনা শুরু হয়েছে। বিরােধী দলের দাবি, একজন বিডিও কিভাবে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এভাবে ভগবানের আসনে বসিয়ে জনগণের সামনে তা মেনে চলার নিদান দিতে পারেন। 

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এ ধরনের অনেক নীতি অনেকেই মেনে চলতে পারেন। কিন্তু সে সম্পর্কে সর্বসমক্ষে বলে তা মেনে চলার কথা বলা, তাও আবার সরকারি পদে থেকে সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে, নিতান্তই অপ্রয়ােজনীয়। তা একজন বিডিওর পক্ষে করায় আরাে দৃষ্টিকটু জায়গায় গেছে।

হাসনাবাদ এর ঘূর্ণিঝড়ে বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন এলাকার বিডিও অরিন্দম মুখােপাধ্যায়। সেখানেই বিতরণ মঞ্চে উঠে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আবেগ তাড়িত হয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, 'আপনারা সকালবেলা মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে 2 মিনিট দাঁড়ালে একটা অদ্ভুত শক্তি পাবেন।আমি নিজে দুটো ছবির সামনে দাঁড়াই। একটা স্বামী বিবেকানন্দর ছবির সামনে, আর একটা মাননীয়ার ছবির সামনে। এক অদ্ভুত জীবনীশক্তিতে নিজেকে পুনর্জীবিত করি। উনি কর্মবীর। ওনার ছবির সামনে দাঁড়ালে আপনিও কর্মের অনুপ্রেরণা পাবেন।'" এ ধরনের কথা শুনে দর্শকাসনে বসে থাকা প্রত্যেকেই অবাক হয়ে যান। একজন শিক্ষিত বিডিও কিভাবে একথা বলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন সবাই। তিনি প্রশাসনিক স্তরে আছেন নাকি তৃণমূলের হয়ে রাজনৈতিক প্রচারে এসেছেন – উঠে যায় সেই প্রশ্নও!

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি-সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত ।