জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যর্থ পাকিস্তান। এমনটাই জানান আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর। মন্ত্রকের দাবি, লস্কর-এ-তৈবা  বা জইশ-ই-মহম্মদের মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন রীতিমতো মদত পাচ্ছে ইসলামাবাদ থেকে। ফলে, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে সে দেশ। গত বছরের জুলাইতে নির্বাচনের সময়েও কিছু বহিরাগতকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। যারা ইসলামাবাদে ঘাঁটি গেড়ে পরোক্ষে সন্ত্রাসবাদকেই মদত দিয়েছে। 

আমেরিকার পররাষ্টর মন্ত্রকের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার আফগান সরকার এবং আফগান তালিবানদের রাজনৈতিক পুনর্মিলনের পক্ষে সমর্থন জানালেও দেশ থেকে জঙ্গি সংগঠনকে উৎখাত করতে না পারায় তারা বহাল তবিয়তে সন্ত্রাস চালাচ্ছে পাক মাটিতে বসেই। 

একই সঙ্গে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা ও আফগান সরকারকে। এছাড়াও, জঙ্গি সংগঠনকে পুষ্ট করতে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি ইসলামাবাদেই রীতিমতো জঙ্গি শিবির খুলে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে লস্কর বা জইশের মতো দুর্দমনীয় সংগঠনগুলি। 

তালিকায় আছে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি), জামায়াত-উল-আহরার (জুয়া), আইসিস খোরাসান প্রদেশ (আইসিস-কে) এবং লস্কর-ই-ঝাংভি আল-আলমি (এলজেএ) সংগঠন। যারা গত বছরে বহুবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানে।  

সংগঠনগুলি হামলা চালিয়েছে বালুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের একাধিক সরকারি, বেসরকারি এবং কূটনৈতিক দফতরে।

প্রতিবেদনের বিবৃতি অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির লক্ষ্যে ছিলেন দেশের সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক, বিশেষ সম্প্রদায়ের নেতা, সুরক্ষা বাহিনি, আইনি সংস্থা এবং নির্দোষ স্কুলপড়ুয়ারা। হিংসা ও আতঙ্ক ছড়াতে এদেরই হত্যা করেছে জঙ্গিরা। ধ্বংস করেছে ধর্মীয় স্থান। 

সমীক্ষায় আরও প্রকাশ, পাকিস্তানে অবস্থানকারী এই গোষ্ঠীগুলি পাক মাটি থেকেই সমগ্র বিশ্বে হামলা চালাত। বহু অর্থনীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়িত এই সমস্ত সংগঠন।


তথ্যসূত্রঃ ndtv