pic source:adhikari1234Suvendu fb 
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে রাজ্যে ৬ জনের মৃত্যু হল। জানিয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বাকি ২ জনের মৃত্যু হয়েছে কালনা এবং নন্দীগ্রামে। কলকাতাতে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আর একজনের। শনিবার রাতভোর তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশে দিকে চলে গেছে বুলবুল। তার আগে লণ্ডভণ্ড করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা-পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।
pic source:adhikari1234Suvendu fb 

গতকাল প্রবল গতিতে আছড়ে পড়া বুলবুল ঝড়ে নিহত নন্দীগ্রাম এর ভেটুরিয়ার বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী , সুজাতা দাস এর পরিবারের হাতে সতীশ সামন্ত ওয়েলফেয়ার তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য ও আহত একই পরিবারের পুত্র সন্তান আকাশ দাস কে তমলুক জেলা হাসপাতালে থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্যে স্থানান্তরিত ও তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। 

এদিকে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আগামীকালই 'বুলবুল' বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হেলিকপ্টারে চেপে তিনি এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। বুলবুল দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিয়ে কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। 
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি জেলার জেলাশাসকদের প্রাথমিক রিপোর্ট নবান্নে এসে পৌঁছেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯ জেলার ৩ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের ফলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজারের বেশি বাড়ি। প্রায় ৯ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ৯৫০টি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।