গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়,সরকার পোষিত বিদ্যালয়,এবং সরকার কর্তৃক স্পনসর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের ‘ওয়েব এনাবেলড স্টাফ প্যাটার্ন’ সিস্টেমে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।এতে শিক্ষকদের মোট তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-আপার প্রাইমারি ক্যাটাগরি,মাধ্যমিক ক্যাটাগরি এবং উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরি। রাজ্যসরকারের এই ‘Web enabled staff pattern’ সিস্টেমের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিজিটিএ) হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলাটির শুনানি হল গতকাল।


এই মামলায় বিজিটিএ’র পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের অনৈতিকভাবে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের ‘আপার প্রাইমারি’ স্ট্যাটাস ভুক্ত করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাদের অভিযোগ যে,এতদিন ধরে তারা নর্মাল সেকশনে জয়েন করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে আসছেন। আজ হঠাৎ করে রাজ্য সরকার তাদেরকে আপার প্রাইমারি স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যা সম্পূর্ণ ভাবে অনৈতিক এবং নিয়মবিরুদ্ধ। এর ফলে তারা আর্থিকভাবে এবং পদমর্যাদাগত দিক থেকে অবনমনের আশঙ্কায় ভুগছেন।
উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানান যে,যেহেতু রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে কবে থেকে এটি কার্যকর করা হবে,তাই এই মামলাটিকে আপাততঃ কনসিডারেশনের মধ্যে রাখা হচ্ছে এবং পূজার ছুটির দুই সপ্তাহ বাদে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হবে।