ননসেন্স রাইমসের প্রবর্তক সুকুমার রায় 
শুভাশিস দাশ 

রাম গরুরের ছানা , বলতে তাদের মানা কিংবা আর যেখানেই যাও না কেন সপ্ত সাগর পার /কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবর দার ! 
এই ছত্র গুলো শৈশবে পড়েনি এমন বঙ্গ সন্তান হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না । এই অদ্ভুত সৃষ্টির স্রষ্টা হলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছড়াকার সুকুমার রায় । শুধু ছড়াকার বললে ভুল হবে বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের নব দিগন্তের এক অন্যতম পথিকৃত তিনি । 
বাবা প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী এবং মা ছিলেন বিধূমুখী দেবী । ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন । তাঁদের আদি নিবাস ছিল ওপার বাংলার ময়মনসিংহে । 
রসায়ন এবং পদার্থ বিদ্যার ছাত্র হয়েও বাংলা সাহিত্যে যে অমূল্য সম্পদ তিনি দিয়ে গেছেন তা সত্যিই বিস্ময়ের ! ননসেন্স রেইমসের প্রবর্তক সুকুমার রায়ের ছড়া আজও সমান ভাবে বাংলা সাহিত্যে দেদীপ্যমান । 
তাঁর হাতে লেখা পত্রিকা ' সাড়ে বত্রিশ ভাজা ' সেসময় আলোড়ন তুলেছিল । এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি তাঁর রম্য রচনা লেখা শুরু করেন । মাত্র ছত্রিশ বছর পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন । এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলা সাহিত্যে দিয়েছেন অনেক কিছু । 
পারিবারিক সাপোর্ট ছিল তাঁর । 
তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচিত্র কার সত্যজিৎ রায় । তিনি ১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে যান । 
তাঁর আবোল তাবোল , পাগলা দাশু , কাতুকুতু বুড়ো আমাদের আজও মনের সুকুমার বৃত্তি কে প্রভাবিত করে । জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইলো শ্রদ্ধা !