হে মা লক্ষ্মী সুমতি দাও , ধন দাও
শুভাশিস দাশ
শঙ্খ বাজিয়ে মা কে ঘরে এনেছি /সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি , /এসো মা লক্ষী বসো ঘরে , আমারই ঘরে থেকো আলো করে ' ধনের দাত্রী দেবী লক্ষ্মী !
শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো । দুর্গা পূজার পর পরই শুরু হয়ে যেতো লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন । মা , বড় মা দের দেখতাম পুজোর জন্য তিলের নাড়ু মোয়া , আট কলাই ভাজা তৈরি করতে ।
বিজয়া দশমীর পাঁচ দিন পরে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা । এইদিনে উঠোন জুড়ে লক্ষ্মী মায়ের পদ চিহ্ন আঁকা হত আর ধানের ছড়া এবং কলকা করা আলপনায় সেজে উঠতো প্রায় বাড়ির আঙিনা !
শাস্ত্র মতে এই লক্ষ্মী দেবী ধন ঐশ্বর্যের দেবী । তাঁকে তুষ্ট করলে নাকি অর্থের অভাব ঘুচে যায় । এই বিশ্বাসের উপর ভর করে সেই পুরা কাল থেকে চলে আসছে এই পুজো ।
এই লক্ষ্মী পূর্ণিমা কে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয় । এই কোজাগরী পূর্ণিমার অনেকে এই ভাবে ব্যখ্যা দেন যে এই রাতে কে জাগে রে ! অর্থাৎ কোজাগরী তে রাত ভর নাকি জেগে থাকতে হয় । এই পুজোয় ঘি এর প্রদীপ সারারাত জ্বালিয়ে রাখলে নাকি লক্ষ্মী প্রসন্ন হন ।
কী জানি তিনি প্রসন্ন হন কি না ? তবে এই বঙ্গে এখন লক্ষ্মী দেবী প্রসন্ন কিনা তা বলা কঠিন । বঙ্গ ভান্ডারে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা কবে মিটবে কে জানে ! সরকারি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে যে হারে অনুদান বের হয়ে যাচ্ছে তাতে সন্দেহ তো লাগেই ! আগামীতে কী যে গিয়ে দাঁড়াবে তা একমাত্র অন্তরযামিই জানেন !
হে মা লক্ষ্মী তুমি বর দাও । এই বঙ্গের লক্ষ্মী দেবীর সুমতি দাও ।
লক্ষ লক্ষ বেকার আজ হতাশায় ভুগছে ! যে দু চারটে কর্মসংস্থান হচ্ছে তাতে সরস্বতীর ছোঁয়া নেই লক্ষ্মীর ঝাঁপি না খুললে চাকরি নট !
সরকারি কর্মীদের ডি এ দিতে মা লক্ষ্মীর ভাড়ার শর্ট হয় !
মাগো তুমি অন্তত এই বঙ্গে এসো সেই পুরাতন রূপে ! ডিজিটাল বলয়ে আমরা তোমাকে মিস করছি মা ।
পরিশেষে তোমার প্রণাম মন্ত্রে বলি ' ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে । সর্বত: পাহি মাং দেবী মহা লক্ষ্মী নমোহস্তুতে ॥ '
শুধু চাকরি চাকরি করলে হবে। চাকরি করলেই সকার, চাকরি না করলেই বেকার। আরে বাঙালি ব্যবসা কর। চাষ কর, উত্পাদন কর। ব্যবসা না করলে সেই জাতি টিকে থাকে না। আর না পড়লে ì
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thanks