হীরক চাকীঃ আজ 11ই সেপ্টেম্বর। 1893 সালে আজকের দিনে স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববাসীকে মুক্তির মন্ত্র দিয়েছিলেন।
ধর্ম মহাসভার উদ্দেশ্য, মহৎ হলেও গোঁড়া খ্রিষ্টানদের অনেকেই ধর্মমহাসভাকে সমালোচনা করতে শুরু করলেন। তাদের মতে, খ্রিষ্টধর্মই একমাত্র ধর্ম। ধর্মমহাসভা ডেকে অন্য ধর্মকে তার পাশে বসানোর অর্থ যিশুখ্রিষ্টের বিরুদ্ধে নাকি বিশ্বাসঘাতকতা।
এমতাবস্থায় দ্বিতীয় অধিবেশনে স্বামীজী বক্তৃতা দিতে উঠে সম্বোধন করলেন 'Sisters and Brothers of America' সাথে সাথে কয়েক হাজার নর-নারী হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ল। দু’মিনিট ধরে তাদের করতালি চলল। স্বামীজী সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন যার মমার্থ, শ্রীরামকৃষ্ণের সেই ‘যত মত তত পথ’ বাণী। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের জায়গান করলেন না স্বামীজী। সব ধর্মই যে সমান সত্য। ভারতবর্ষের মানুষের এই সনাতন বিশ্বাসকেই তিনি সবার সামনে তুলে ধরলেন।
তিনি বললেন, আমি সেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে গৌরব বোধ করি, যে ধর্ম জগৎকে শিখিয়েছে সহিষ্ণুতা ও সর্বজনীন গ্রহীষ্ণুতার আদর্শ। আমরা শুধু সব ধর্মকে সহ্যই করি না, সব ধর্মকে আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করি।
প্রথম দিনের বক্তৃতাতেই স্বামীজী হয়ে উঠেছিলেন ধর্মমহাসভার কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাই প্রায় প্রতিদিনই তাকে বক্তৃতা করতে হতো।
ধর্মমহাসভা চলেছিল ১১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর। এই মহাসভায় স্বামীজি ভারতবর্ষকে নতুন ভাবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেছিলেন। যেটা ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা। সেই জন্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন - " যদি তুমি ভারতকে জানতে চাও, তবে বিবেকানন্দকে জানো। " --- যা বর্তমান যুগেও সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊