আমার শৈশব
সুস্মিতা ঘোষ

আমি ইচ্ছে করলে পদ্মফুলের কুচি দিয়ে আলপনা দিতে পারি,
সত‍্যি বলি মেয়েবেলাটা বড্ড মনে পরে,
কাকারা ছিলেন ভীষণ রাগী,
নির্বাসিতা আমি ঘরে,
জানালা দিয়ে দেখতাম ওরা বল -পিট্টু খেলে ফেরে।
হলো যে আট , বাবার সায়ে
খুললাম ডানা ঐ
মা চোখের আড়াল হলে আমাকে পাবে কই ?
দিতাম এক ছুট দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে ঐ।
কুলমাখা বা জামরুলেতে তখন রৌদ্র বিকেল সাজত।
সাতপাতা আর এলেটিং-বেলেটিং গল্পগুজব মাখতো।
হা-হা-হি-হি আজব সুরে আলগোছে যেই আগলে ধরে
এক্কা দোক্কা বা লুকোচুরিতে কত গল্প জমেছে।
ঝালমুড়ি আর চানাচুরে কখনও বা মাংসচোরে
সবেতে ভাগ বসিয়েছি ।
না না একা নয় দলে ছিল জন কুড়ি ।
এরপর ঠিক ক্লাস ফাইভে খেলার মহল গেলো ঘুরে
উড়নচণ্ডি দস‍্যি ভাবে হালকা টিনেজ রঙটি ঘোলে,
কাঠি লুকোনো বা হাইসক্রিম ছেড়ে ব‍্যাটমিন্টনে মন বসল।
কুল মাখা বন্ধ হলো তবে, গানের রেয়াজ বাড়লো তখন বেশ
সত‍্যি বলি , শৈশবটা তখনও হয়নি শেষ!
বছর পর আজও আমি সত্যি বলছি বলতে পারি,
ঝগড়া হলে দিই যে আড়ি ,
বে-এ-এ-শ পারি ছোট্ট আমি হতে।
এখনও আমি পুতুল খেলি
বর্ষা হলে জলে ভিজি
কুল-তেঁতুল চুরি করি
মা একটু আড়াল হলে।
সত‍্যি বলছি ভাবি এখন আমি
এমন হতো যদি ,
শৈশবে ঠিক বন্দি হতাম আমি
হিসেবখানি মিটতো এখন তবে,
বড়ো হবার ইচ্ছেটুকু মুছে
থাকতাম বেশ সেই ছোট্টটি কেউ হয়ে
নাহ্ ! সত‍্যি বলছি হতাম না আর বড়ো,
একটুখানিও না ।