ভালোবাসায় কেন আসা?
সুস্মিতা বোস

একাকীত্বের বানজার ভূমিতে কয়েক পশলা প্রেম ঝরে পড়েছে,তবে 'ভালোবাসা' হয়ে ওঠেনি কেউই!
জীবনের টিনেজ ধাপে প্রেম করেছি,
ভালোবাসার সুগন্ধী মেখেছি, ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও প্রথম প্রেমের সা-রে-গা-মা-পা শুনতে পাই আজও।
শরীরি ঠোকাঠুকিতে অচ্ছুত হয়নি মনের টান,
ডায়েরীর ভাঁজে বাসী গোলাপের টান-- প্রাক্তনী প্রেমের সম্পূর্ণতা খোঁজে না,
নগ্ন দেহ খোঁজে না,
একতরফা প্রেমের দশবছরের স্মৃতিবিজড়িত আঁঠা হয়ে টিনের বাক্সে শুয়ে থাকে।
জীবনের দ্বিতীয় প্রেম কলেজ ক্যাম্পাসে,
এক উশকোখুশকো মানুষের টোলপড়া গাল আর ঠোঁটের কোণের তিলে কতশত রাত জেগেছি আমি, হিসেব রাখিনা!
মনে আছে, অন্তিমকালে আবদার রাখতে নিকোটিন মাখা পাঞ্জাবীতে এসেছিল তবে বহুরূপী রাত্রি বেশে মিলিয়ে গেল মধ্যগগনে!
শিক্ষকমশাইয়ের চোখের কোণে চোখ রাখলেই হৃদঘরে তুফান উঠত,আজও মানুষটা খুব দামি সুসজ্জিত মেমোরি লেনে।
তারপর অজান্তে তৃতীয় প্রেমের হালখাতা।
অপরিচিত তবে মাত্র কয়েক মাসে কন্ঠস্বরের পথ ধরে সর্বাঙ্গে বোহেমিয়ানা জাগিয়ে দিল যে তার সাথে কবিতার ঘরে কথার পিঠে কথা চাপিয়ে ঝগড়া হত,
কখনও রাত্রি কেটেছে ফোনকলে আর প্রেমের সর্বক্ষণের সাথী ছিল সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি আধুনিকী বোকা বাক্সটি।
কদম গাছকে ঈর্ষা করত, কল্পনায় থাকতে চাইত আমার। আমার সময়ের লোভী সে....
আমি আবার অতি নয় স্বল্পতেই সন্তুষ্ট।
অমিল তত্ত্বে প্রেমে একতরফা হলাম আবারও!
অনেকে আমার প্রাণভোমরা হতে চায়,
তবে আমার ভালোবাসা যাযাবরী, উগ্রকালি।
পাকাকেশী, ছদ্মবেশী।
প্রেমের বারান্দায় সাতপাক দিলেও দ্বিপাক্ষিক ভালোবাসার ভরাকোটালে বাঁচিনি কভু!
আচ্ছা, শরীরি ভার্জিনিটি মনের গহীনের রক্তক্ষরণকে ঢাকতে পারে তো?
এ জন্মে ভালোবাসার আগুন ছোঁয়া হল না!
স্মৃতির ঘরে কোনঠাসাই হয়ে রইলাম, "মনের মানুষ" আর পেলাম কই?!