সৌরভ চক্রবর্তীঃ 
অবস্থা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তাতে বিক্রমের সাথে যোগাযোগ এখনও সম্ভব হলো না।

ইসরো অফিসিয়ালস বলছেন, অরবাইটারের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, বিক্রম অক্ষত আছে কিন্তু হেলে আছে, ফলতঃ বিক্রমের পেটের মধ্যে থেকে রোভার প্রজ্ঞান বেরোতে পারে নি, যোগাযোগও সম্ভব হয়নি।

বিক্রমের পায়ে হেলমেটের মত জুতো পরানো আছে, ওপর থেকে পড়লে সে অভিঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বিক্রমের আছে কিন্তু কতটা ওপর থেকে পড়লে সে পুরোপুরি অক্ষত থাকবে এমনটা ধারণা করা মুশকিল।

সোলার প্যানেল হয়তো ঠিক আছে, হয়তো ঠিক নেই, যদি ঠিক থাকে আশার কথা, আর ঠিক না থাকলে সর্বনাশ, একটা খারাপ সম্ভাবনা হলো, প্যানেলে সর্ট সার্কিট হওয়ার, তাহলেও সর্বনাশ।


হেলে থাকার বিষয়ে একটা আশার কথা শোনানো হচ্ছে, সূর্যের আলোর জন্য লম্বা ছায়ায় বিক্রমের হেলে থাকা দেখা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে ছায়ার দৈর্ঘ কমার, তাহলে বিষয়টা আরও পরিস্কার হবে।

এবার যোগাযোগ এবং আরও নিখঁত ছবির জন্য দুটো রাস্তার কথা ভাবা হচ্ছে।

এক, অরবাইটারকে চন্দ্রপৃষ্ঠের আরও কাছে নামিয়ে আনা, তাহলে বিক্রমের নিখুঁত অবস্থান এবং অবস্থা নির্নয়ে সুবিধে হবে কিন্তু অরবাইটারকে আবার আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে - এখন শেষ ভরসা অরবাইটার, এই ঝুঁকি নেওয়ার আগে বিশবার ভাবতে হবে।

দুই, নাসার অরবাইটার LRO বা Lunar Reconnaissance Orbiter, চন্দ্রপৃষ্ঠের খুব কাছ দিয়ে ঘুরছে, ওর থেকে সাহায্য নেওয়াও হয়েছে, চন্দ্রযান ২ মিশনের বিষয়ে, বিশেষতঃ ল্যান্ডিং এর জায়গা নির্বাচনের প্রশ্নে - আর এখন বিক্রমের নিঁখুত অবস্থান এবং অবস্থা নির্নয়ে LRO র থেকে সাহায্য নেওয়ার ভাবনা আসছে।

যাই হোক, সময় চলে যাচ্ছে, সর্বোচ্চ ২১ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যা করার করতে হবে, তারপর চাঁদে রাত নামবে, সবকিছুই অন্ধকার!


ছবি সূত্রঃ News18