সংবাদ একলব্য,৩ আগস্টঃ অস্বাভাবিক তাকেই বলি যে লক্ষ লক্ষ গতানুগতিক স্রোতের উল্টো দিকে চলে। 'সুস্থ' জীবন যাপন বলতে বুঝি জন্ম, উপার্জন, উপভোগ, মৃত্যু। যে ব্যতিক্রম পথে হাঁটছে সে 'অসুস্থ'। সমাজের বানানো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে যারা নিজের মনের শোনে, নিজের চিন্তাধারাতে শান দিয়ে একলা পথে হাঁটে, মুক্ত ভাবে বাঁচে, স্বপ্ন দেখে; তাদের আচরণ 'পাগলামো' তাদের বিশেষন - "পাগল"। এমন অসংখ্য ব্যতিক্রমী মানসিকতার সৃজনশীল পাগলদের একটা ছাদে, একটা নামে, একটুকরো আলোতে বাঁধার প্রচেষ্টা হলো 'ভ্রমর'।কারণ এই তরুণ পাগলের দল অনেকটা ভ্রমরের মতো। এলোমেলো ভাবে তারা নিজের মতো করে নিজের দায়িত্ব পালন করে। তাদের আটকানো যায় না, বাঁধা যায় না। তারা গুনগুন করে।সমাজের চোখরাঙানির বাঁধন ভাঙতে একঝাঁক ভ্রমরের দল বিধ্বংসী রূপও নিতে পারে।এটাই ভ্রমরের একতা, এটাই ওদের শক্তি, এটাই আস্তানা। 
শুধু মাত্র সেবার বাঁধনে সীমিত থেকে নয়। সংস্থার আরো প্রচেষ্টা সমাজের নবীন প্রজন্মের মধ্যে সামাজিকীকরনের বীজ বপন। বিন্দু বিন্দু দিয়ে এক সিন্ধু গঠনের প্রচেষ্টায় ভ্রমর নিয়োজিত।সমাজ সেবার পাশাপাশি সমাজ কর্ম ও সমান ভাবে হোক ওরা সেই ব্রত মেনে এগিয়ে চলেছে সমাজের বুকে।
সুন্দর হোক এই সমাজ।
সবাই শিক্ষা পাক , অন্ন পাক, বস্ত্র পাক, একটু আদর ভালোবাসাতে ভরে উঠুক ওদের জীবন।
ভ্রমরের লড়াইয়ের পথে, ভ্রমরের কর্মযজ্ঞের পথে তাই - "আনন্দ হোক বাঁধন ছাড়া...."
ওরা ভ্রমর,ওদের গুঞ্জন সব শিশু ফুলে। তবে বেশি প্রিয় ওদের আদিম মুক্ত প্রকৃতি আর প্রাচীন বনানীর কোলের নাম না জানা যত্নহীন ফুল। তাইতো সকল বঞ্চিত, অনগ্রসর শিশু ও মায়েদের কল্যাণ ভ্রমরের ব্রত হলেও ভ্রমরের মূল ব্রত ভারতবর্ষের প্রাচীন আদিম জনগোষ্ঠীকে অনগ্রসরতা থেকে সমাজের মূল স্রোতে সামিল করা।সংস্থার অন্যতম উদ্যোক্তা সুদীপ সরকার বলেন- 
"আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার শিশুদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, নৈতিক মানোন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। প্রসুতি, যুবতী মায়েদের স্বাস্থ্য, কিশোরী বয়ঃসন্ধি বালিকাদের পুষ্টি - স্বাস্থ্য - মানসিক বিকাশ, এলাকার যুবকদের শিক্ষা, গ্রন্থাগারমুখীকরণ ইত্যাদি সবই রয়েছে কর্মসূচিতে।
কৃষক, নিরক্ষর কৃষকভাইদের পেশাগত শিখন-শিক্ষন, তাদের জন্য পুস্তক, প্রণয়ন,এক টাকার পাঠশালা, পুরাতন বস্ত্রবাজার,বুক - ব্যাংক,ফুড ব্যাঙ্ক,ড্রাই ফুড ব্যাঙ্ক , হলি ইনভিটেশন ,টয় লাইব্রেরি, রূপকথা(নতুন /পুরাতন গল্প বই) খেলনাবাটি(নতুন /পুরাতন খেলনা সংগ্রহ) , মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা এবং প্লাস্টিক মুক্ত গ্রাম গঠনের ভাবনা রয়েছে" ।
মূলত কল্যাণকাজে ভারত রাষ্ট্রের নীতিগুলি আত্মস্থ করে, হৃদয়ে স্থান দিয়ে,রামকৃষ্ণ-স্বামী বিবেকানন্দের বেদান্ত মতে মানবসেবার লক্ষ্যে ভ্রমরের কর্মযজ্ঞে আত্মনিয়োজন।