সংবাদ একলব্য, ১৮ আগস্টঃ গতকাল রাতে পার্শ্ব শিক্ষকের উপর পুলিশের বর্বরচিত লাঠিচার্জের প্রতিবাদে কল্যাণী স্টেশন থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে কল্যাণী থানা ঘেরাও করে ধর্ণায় বসে পড়েন পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা।শনিবার রাতের শিক্ষক পেটানো পুলিশের শাস্তি ও পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ বাদি করেন।পার্শ্ব শিক্ষকদের অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যায় অনশন মঞ্চের আলো নিভিয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপর পুলিশ বর্বরচিত ভাবে লাঠি চালায়। এর ফলে কয়েক জন গুরুতর জখম হয়।
পার্শ্বশিক্ষকদের উপর পুলিশি তাণ্ডবের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা মন্তব্য, ‘‘পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ সভ্যতার কলঙ্ক৷ ভাবতে লজ্জা করছে, এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী একজন মহিলা৷ ঐ নির্লজ্জ মন্ত্রীকে লজ্জিত বোধ করাতে সমস্ত শিক্ষক সমাজ রাস্তায় নামুন৷ সরকারের তোষামোদী করে নিজেদের সম্মান টিকিয়ে রাখতে পারবেন না৷’’
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ন্যায্য দাবির আন্দোলনে নিশংস আক্রমণ চলেছে। নার্সদের পর এবার পার্শ্বশিক্ষক৷ সল্টলেকে জলকামান, ধর্মতলায় পুলিশের লাঠিচার্জ৷ এবার কল্যাণীতে রাতের আলো নিভিয়ে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ৷ অসহ্য নারী নির্যাতন৷ মন্ত্রীরা সব লাটসাহেব নাকি যে বিক্ষোভ করা যাবে না? মমতার সরকার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷ নিন্দার কোন ভাষা নেই৷’’
আজ প্রায় 20000 হাজার পার্শ্বশিক্ষক এর উপস্থিতিতে গতকালের পুলিশের জালিয়ানওয়ালাবাগের কায়দায় বর্বরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে কল্যাণী থানা ঘেরাও করা হয় এবং থানা চত্বরে মেন রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চলে । সেখানে সর্বদলীয় নেতা, মন্ত্রীরা, বিভিন্ন দলীয় শিক্ষক সংগঠন সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত হন এবং সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন । এমনকি ঊস্থি সংগঠনের নেত্রী পৃথা বিশ্বাস আন্দোলনের কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন । সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ জগন্নাথ সরকার , সুজন চক্রবর্তীরা বক্তব্য দিয়েছেন । সাংসদ অধীর চোধুরী  নেতা ভগীরথ ঘোষ কে ডেকে নিয়েছেন আজ । এমনকি পার্শ্ব শিক্ষকদের সমস্ত দলীয় সংগঠন আজ এক দাবিতে এক মঞ্চে অবস্থান করছেন।
পার্শ্ব শিক্ষক আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে পার্শ্বশিক্ষক আমির আলী পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের বিশেষ কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়েছেন- 
১)গত কাল কল্যাণী তে পার্শ্ব শিক্ষক দের অনশনে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে, ম্যাডামদের শ্লীলতাহানির ও আমাদের 5 শিক্ষক এখনো পুলিশ কাস্টডিতে, এর প্রতিবাদে আগামী কাল সকল পার্শ্ব শিক্ষকরা স্কুল বয়কট করবেন । কোন পার্শ্বশিক্ষক বিদ্যালয়ে যাবেন না ।
২) আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনদিন কালা দিবস ।সর্বত্র মিটিং, মিছিল করতে হবে ।
৩) এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কলকাতায় অনশনের জন্য প্রযোজনীয় পারমিশান করিযে নেবেন, লাল বাজারথেকে ।
৪) আগামী বৃহস্পতিবার কিম্বা শুক্রবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায কলকাতায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন বসতে হবে । তারজন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।