সোউগে আউলাইছে
তপন বর্মন

তুই নাই
তায়!
হায়রে!
আউলাইছে মোর সোগে।
হুরকার ঠ্যালাত য্যাংকরি বাঁশের মাথাত থাকা
সারো পকির ভাসা আউলায়।


তুই নাই তায়,
 ফুলের বাগানের ডগডগা গোলাপ গছটা,
চাতক পকির নাকান
 ফুটিক জল ফুটিক জল করতে করতে
শুকি গেচে।


তুই নাই তায়,
সন্দ্যাবেলা চালের মাতাত,
ক্যাচম্যাচ করে না আর বাওয়াই পকি।
মাঝ আইতোত আর আইসে না কোনো ছন্দ,
নদীর পারোত মাঝিও কয়না সুকের গান।


তুই নাই তায়!
সাদা বগার পাকনাতো দেখং  কাদোর দাগ।
হোলাফুল ভরা নদীর ঘাটখানো---
 হুকহুক করি কান্দি ওটে।


তুই নাই তায়!
দোতরার তার মোর ছিরি গেচে,
সুরো ওটে  না আর,
হায়রে!
আউলিগেচে মোর সোগে,
সুনসান ভাঙা হাটের নাকান ।


তুই নাই তাও,
মাঝ আইতোত এলাও দেখং  হপন,
তুই,
নাল শাড়ি খান পিন্দিছিস,
মাতাত গোলাপ ফুল।
নৌকাত চরি তুলির ধরছিস সাদা হোলা ফুল।
ভলভলা করি সেন্দুর দিচিস,
খোপাত ফুলের মালা
আলতা পরা ঠ্যাং তোর , নাগতেছিল ভালা।
হুরুস করি শব্দ পায়য়া ভাঙি যায় নিন,
উটিয়া খোজং কুত্তি গেলু মোক করিয়া হীন।
ডুকরি কান্দোং খুজিয়া মরং
না পাং তোর দেকা,
বিধাতা তোক কারি নিল
মোক করলেক একা।


হায়রে সন্দ্যা-----
তুই নাই তায়!
সন্দ্যাব্যালা!!!
তুলসীর তলোত বাতি দিবে কায় ?