Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কম্বোডিয়ায় ৩২৮ ফুটের ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ থাইল্যান্ডর বিরুদ্ধে! ভাইরাল ভিডিও

কম্বোডিয়ায় ৩২৮ ফুটের ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ থাইল্যান্ডর বিরুদ্ধে! ভাইরাল ভিডিও 

Viral video


ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিবাদের আঁচ এবার পড়ল এক ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনায়। অভিযোগ, থাইল্যান্ড সীমান্ত সংলগ্ন কম্বোডিয়ার একটি মন্দিরে জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি বিশালাকৃতির বিষ্ণুমূর্তি ও মন্দিরের অংশবিশেষ। সেই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মহলে। যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ একলব্য। 

কম্বোডিয়া সরকার ও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব থেকেই থাইল্যান্ড এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ৩২৮ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত।

এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, “বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র এই প্রাচীন মন্দির ও বিষ্ণুমূর্তির ধ্বংস আমরা তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং মানব সভ্যতার ঐতিহ্যের উপর সরাসরি আক্রমণ।”

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি জেসিবি মেশিন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিরাটাকার মূর্তিটি। দূরে দাঁড়িয়ে একদল মানুষ সেই ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু কেউ বাধা দিচ্ছে না—যা পরিস্থিতির ভয়াবহতাকেই আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে টানা পাঁচদিন ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে। সেই সংঘাতে উভয় পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়। কয়েকদিনের গোলাবর্ষণের পর যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানায় কম্বোডিয়া, তবে শুরুতে থাইল্যান্ড সেই প্রস্তাব মানেনি। পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় দুই দেশ সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। যদিও সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর উদ্যোগেই এই যুদ্ধ থেমেছে।

অক্টোবর মাসে শান্তিচুক্তির পর মনে করা হচ্ছিল, হয়তো স্থায়ী শান্তির পথে হাঁটছে দুই দেশ। কিন্তু ডিসেম্বর মাসেই ফের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সেই আবহেই এবার সীমান্তবর্তী এলাকায় মন্দির ও বিষ্ণুমূর্তি ধ্বংসের ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল—আদৌ কি শান্তি ফিরছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়?




এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code