Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

নকল ঘি-এর পর এবার সিল্কের দোপাট্টা কেলেঙ্কারি সামনে এলো

নকল ঘি-এর পর এবার সিল্কের দোপাট্টা কেলেঙ্কারি সামনে এলো

tirupati silk scam, tirumala tirupati devasthanam fraud, ttd silk dupatta controversy, tirupati temple corruption, fake silk dupatta case, tirupati 54


তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে আবারও বড় কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। নকল ঘি বিতর্কের পর এবার সিল্কের দুপাট্টা সরবরাহে বিশাল জালিয়াতি ধরা পড়েছে। ভিজিল্যান্স বিভাগের তদন্তে জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মন্দির প্রশাসনে যে দুপাট্টা সরবরাহ করা হয়েছিল, সেগুলি আসল রেশম নয় বরং সম্পূর্ণ পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি। অথচ এগুলি রেশমের দুপাট্টা বলে দাবি করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। অনুমান করা হচ্ছে, এই জালিয়াতির মোট মূল্য ৫৪ কোটি টাকারও বেশি।

সূত্র অনুযায়ী, একজন ঠিকাদার প্রতি টুকরো ১,৩৮৯ টাকা দরে প্রায় ১৫,০০০ দুপাট্টা সরবরাহ করেছিলেন। পরে যখন নমুনাগুলি কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ডসহ দুটি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তখন রিপোর্টে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় যে এগুলি আসল সিল্ক নয়। এই ঘটনার পর টিটিডির চেয়ারম্যান বি.আর. নাইডু জানান, ক্রয় বিভাগে অনিয়ম ধরা পড়েছে এবং তদন্তটি ইতিমধ্যেই এসিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

টিটিডি অতীতে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নকল ঘি মামলা সামনে আসে, যখন অভিযোগ ওঠে যে পবিত্র লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘি খাঁটি নয় বরং ভেজাল। এর পর সিবিআইয়ের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়। ২০২৩ সালে পরকমণি বিভাগের কেরানি সি.ভি. রবি কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়, শ্রীভারী হুন্ডিতে ভক্তদের অনুদান আত্মসাতের অভিযোগে।

এই নতুন সিল্ক দুপাট্টা কেলেঙ্কারি টিটিডির প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন খতিয়ে দেখছে কীভাবে এই জালিয়াতি এক দশক ধরে চলতে পারল, কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং কোন কর্মকর্তাদের ভূমিকা সন্দেহজনক। তদন্ত চলছে এবং আরও বড় উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code