‘কবিতার গণিতবিদ’ বিনয় মজুমদারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী, দিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলনে শ্রদ্ধার ঢল
বাংলা আধুনিক কবিতার স্বতন্ত্র পথপ্রদর্শক এবং যুক্তি-নির্ভর কাব্যভঙ্গির জনক বিনয় মজুমদারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হলো দিনব্যাপী এক বর্ণাঢ্য সাহিত্য সম্মেলন ও স্মরণানুষ্ঠান। দিনভর কবি-সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক, পাঠক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে স্মরণসভা এলাকা। আবেগঘন পরিবেশে কবির জীবন, কাব্যচিন্তা ও সাহিত্যঐতিহ্য নিয়ে সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, নীরব শ্রদ্ধা এবং পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে। বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই সময় বিনয় মজুমদারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁদের কথায়, "বিনয় মজুমদারের কবিতা বাংলা ভাষায় এক নতুন যুক্তিবাদী কাব্যভুবন নির্মাণ করেছে। তাঁর স্বকীয় রচনাশৈলী বাংলা সাহিত্যকে এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।"
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট বক্তারা বিনয় মজুমদারের জীবন ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তুগুলি ছিল:
- কবির স্বকীয় জীবনদর্শন ও নিভৃতচারী মানস।
- তাঁর কবিতায় গণিত, যুক্তি, প্রেম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়।
- বাংলা আধুনিক কবিতায় তাঁর বিপ্লবাত্মক ভূমিকা।
- পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের উপর তাঁর প্রভাব।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, "বিনয় মজুমদার তাঁর সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতাকে আন্তর্জাতিক মানচিন্তায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।"
আলোচনা পর্ব ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিল সমবেত কবিতা পাঠের আয়োজন। তরুণ কবিদের স্বতঃস্ফূর্ত আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। এছাড়াও ছিল কবির স্মৃতিচারণ, প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং নতুন বই-সংকলনের প্রকাশ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলে কবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর সাহিত্যকর্ম আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। উপস্থিত সকলে একমত হন যে, "বাংলা কবিতা যতদিন বেঁচে থাকবে, বিনয় মজুমদারের আলো ততদিন নিভে যাবে না।" কবির আত্মার শান্তিকামনা ও তাঁর সাহিত্যচর্চা বিস্তারের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে এই আবেগঘন স্মরণানুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊