'বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথকেও লাইনে দাঁড় করাত' জয় গোস্বামীকে SIR-শুনানিতে ডাকা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যের
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য জগতের অন্যতম প্রধান কবি জয় গোস্বামীকে ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত SIR-শুনানিতে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
২ জানুয়ারি শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ এসেছে বলে দাবি করেছেন কবির পরিবার। জয় গোস্বামীর স্ত্রীকে স্থানীয় BLO ফোন করে জানায়, কবি ও তাঁর মেয়েকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু পরিবার জানিয়েছে, জয় গোস্বামী বর্তমানে অসুস্থ। কয়েক দিন আগেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। ফলে শুনানিতে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
কবির মেয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবার নাম ছিল না। তখন আমারও বয়স ১৮ হয়নি। কিন্তু তার পর থেকে বাবা নিয়মিত ভোট দিয়েছেন, আমিও ভোট দিয়েছি। ২০২৪ সালেও আমরা ভোট দিয়েছি। এত বছর পর আবার কেন প্রমাণ দিতে হবে, তা আমরা বুঝতে পারছি না। বাবাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।”
জয় গোস্বামীর জন্ম কলকাতার শিশুমঙ্গলে, শৈশব কেটেছে রানাঘাটে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। তাঁর সাহিত্যকীর্তি তাঁকে বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান মুখে পরিণত করেছে। তবুও তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে, যা নিয়ে পরিবার ক্ষুব্ধ।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “জয়কে যদি SIR-শুনানিতে ডাকে, তবে আমার মনে হয় বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথকেও লাইনে দাঁড় করাত। এটাই বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে ওদের মনোভাব। জয়দা এদেশি, জয়দা কবি। তিনি বছরের পর বছর ভোট দিয়েছেন। যদি বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন এভাবে করতে পারে, তবে বুঝতে হবে বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির যে কাউকে অনুপ্রবেশকারী বলা সম্ভব।”
রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রবীণ মানুষদের লাগাতার শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে জয় গোস্বামীকে ডাকার ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাহিত্যপ্রেমী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊