খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও একদিনের ছুটি বাংলাদেশে!
চির বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আর খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ। প্রয়াত স্বামী জ়িয়াউর রহমানের কবরের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে প্রয়াত বিএনপি নেত্রী খালেদা জ়িয়াকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর বুধবার দুপুর ২টায় সমাধিস্থ করা হবে খালেদা জিয়ার মরদেহ। ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ এবং মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জিয়া উদ্যানে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জ়িয়াউরের পাশেই সমাধিস্থ করা হবে খালেদাকে এমনটাই খবর।
খালেদার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার কথা ঘোষণা করেছে ইউনূস সরকার। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। বুধবার বন্ধ থাকবে বাংলাদেশের সমস্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে জরুরি এবং আপৎকালীন পরিষেবা অন্য দিনের মতোই চালু থাকবে। আদালতের কাজ বন্ধ থাকবে কি না, তা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট স্থির করবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।
জানা যাচ্ছে বুধবার খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জানাজায় প্রচুর ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। প্রায় দশ হাজার বাহিনী থাকতে পারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহের সুরক্ষায় এমনটাই খবর।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউনূস বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জ়িয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামী কাল তাঁর নমাজে জানাজার দিনে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি।”
মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে) ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যু হয় খালেদার। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পরেই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊