Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ভারতের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে সাংস্কৃতিক কূটনীতির পথে বাংলাদেশ

ভারতের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে সাংস্কৃতিক কূটনীতির পথে বাংলাদেশ

India Bangladesh relations, cultural diplomacy, film festival, tourism exchange, Bangladesh High Commissioner, Delhi Dhaka ties, Sheikh Hasina era, economic partnership, people-to-people contact, shared future, maritime cooperation, trade relations, Kolkata diplomacy, India Bangladesh cultural ties, tourism cooperation, bilateral relations South Asia


ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পর্কের নতুন গতি আনতে বাংলাদেশ এবার সাংস্কৃতিক কূটনীতিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। চলচ্চিত্র উৎসব, পর্যটন বিনিময় এবং সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জমে থাকা বরফ গলাতে চায় ঢাকা।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ কলকাতায় মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বলেন, “শেখ হাসিনা-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে, এবং সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” তিনি জানান, দিল্লিতে একটি বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে, যা দুই দেশের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক সংলাপের সূচনা করবে।

হামিদুল্লাহ আরও বলেন, পর্যটন হলো আস্থা ও সম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। তিনি ভারতীয় শিল্প নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

হাইকমিশনারের মতে, ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রায়শই অবমূল্যায়িত হয়। পণ্য বাণিজ্য ছাড়াও চিকিৎসা পর্যটন, শিক্ষার্থী বিনিময় এবং পেশাদার কর্মসংস্থান মিলিয়ে এই সম্পর্কের প্রকৃত পরিমাণ ২৫ থেকে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। তিনি এটিকে দুই দেশের মধ্যে “জৈব সম্পর্ক” বলে অভিহিত করেন, যা ভাগ করা ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামোর ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।

হামিদুল্লাহ বলেন, “ভাগ করা ভবিষ্যতের” ধারণা নিয়ে দুই দেশকে এগোতে হবে। একে অপরের সংবেদনশীলতা স্বীকার ও সম্মান না করলে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক সক্ষমতা, বিশেষ করে বন্দরের উন্নয়ন, ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে।

তিনি জানান, ভারত হয়ে ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কেবল উপযুক্ত ফোরামেই ভাগ করা সম্ভব। অবকাঠামো ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও সহজ করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। বর্তমান সংবেদনশীল সময়ে এই বার্তাকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code