১০০ দিনের কাজে নয়া আইন! গান্ধীকে সরিয়ে নয়া নাম ‘জিরামজি’!
১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে নয়া আইন আনার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবর্তন হতে পারে প্রকল্পের নামও। ১০০ দিনের কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ১২৫ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেই বিলে পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপাওয়ারমেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫ (সংক্ষেপে মনরেগা) পরিবর্তন করে বিকশিত ভারত- গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)। সংক্ষেপে ‘জিরামজি’ করা হয়েছে। সোমবার সেই বিল পেশ হতে পারে বলে খবর।
সরকারের তরফে সাংসদদের কাছে বিলের যে কপি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা আছে যে, ২০৪৭ সাল পর্যন্ত দেশে উন্নয়নের রূপরেখা ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্গতি রেখেই এই গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এ-ও বলা হয়েছে যে, গ্রামীণ ভারতের সমৃদ্ধির জন্য গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সাবালক স্বেচ্ছাসেবককে এই কাজে নিযুক্ত করা হবে। প্রতিটি অর্থবর্ষে ১২৫ দিনের কাজ পাবেন প্রত্যেকে।
বিলটিতে বলা হয়েছে, নতুন আইনটির মূল লক্ষ্য হবে "জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন, প্রবৃদ্ধি, সমন্বয় এবং পরিপূর্ণতা অর্জন করা, যা একত্রিত হয়ে বিকশিত ভারত জাতীয় গ্রামীণ অবকাঠামো স্ট্যাক গঠন করবে। এর পাশাপাশি জল-সম্পর্কিত কাজের মাধ্যমে জল সুরক্ষার উপর বিষয়ভিত্তিক মনোযোগ দেওয়া হবে, এবং মূল গ্রামীণ অবকাঠামো, জীবিকা-সম্পর্কিত অবকাঠামো ও চরম আবহাওয়ার ঘটনা মোকাবিলায় বিশেষ কাজের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।"
বিলটিতে কেন্দ্র কর্তৃক গঠিত একটি কেন্দ্রীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা পরিষদের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একজন সভাপতি, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলোর প্রতিনিধি, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংগঠন এবং সমাজের দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্বকারী অনধিক পনেরো জন বেসরকারি সদস্য এবং ভারত সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন সদস্য-সচিবকে নিয়ে গঠিত হবে।
এনআরইজিএ আইনটি ২০০৫ সালে তৎকালীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) সরকার দ্বারা প্রণীত হয়েছিল এবং পরে ২০০৯ সালের ২রা অক্টোবর থেকে এর নাম পরিবর্তন করে এমজিএনআরইজিএ রাখা হয়।
নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 'গান্ধীজি'র নামের প্রকল্পের নয়া নাম 'গান্ধিজী'র অপমান বলেও উল্লেখ করেছেন বিরোধীরা। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টিকে ‘মহাত্মা গান্ধীর অপমান’ বলে অভিহিত করেন। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে বলেন, “কেন মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলা হচ্ছে? মহাত্মা গান্ধী কেবল দেশের মান্য নেতা নন, গোটা বিশ্বেই তাঁকে সম্মান করা হয়।”

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊