অবশেষে খাঁচায় ধরা পড়ল শিকারপুর চা বাগানের ত্রাস চিতাবাঘ
অবশেষে খাঁচায় ধরা পড়ল শিকারপুর চা বাগানের ত্রাস চিতাবাঘ। দশ দিনে পাঁচটি গবাদিপশু শিকার, শ্রমিক মহল্লায় আতঙ্কের অবসান।
অবশেষে আতঙ্কের অবসান। শিকারপুর চা বাগানে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করা চিতাবাঘটি খাঁচায় ধরা পড়ল। গত প্রায় দশ দিন ধরে একের পর এক গবাদিপশু শিকার করে এলাকায় ভয় ছড়িয়ে রেখেছিল এই চিতাবাঘ। বনদফতরের হিসেব অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যেই অন্তত পাঁচটি গবাদিপশু শিকার করে বাঘটি নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করছিল।
চিতাবাঘের এই উপদ্রবে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল শিকারপুর । সন্ধ্যা নামলেই ঘরবন্দি হয়ে পড়তেন শ্রমিক পরিবারগুলি। শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগ দ্রুত উদ্যোগ নেয়। চিতাবাঘ ধরতে চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় একাধিক খাঁচা পাতা হয়। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে একটি খাঁচায় ছাগল টোপ হিসেবে রাখা হয়। সেই টোপের লোভেই খাঁচার ভিতরে ঢুকে পড়ে পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাবাঘিনী।
খাঁচায় পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রাতের মধ্যেই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর সমস্ত নিরাপত্তা বিধি মেনে তাকে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এ বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল জানান, “চিতাবাঘটি সুস্থ রয়েছে। এলাকায় যাতে আর আতঙ্ক না ছড়ায়, সেই কারণেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর বনদফতরের নজরদারি বজায় থাকবে।”
চিতাবাঘ ধরা পড়ার খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শিকারপুরের বাসিন্দারা। শ্রমিক মহল্লায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরতে শুরু করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊