২০২৭ সালের জনগণনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
২০১১ সালে শেষবার হয়েছিল জনগণনা। ২০২১-এ জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও করোনা অতিমারির কারণে হয়নি। এবার ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। সারাদেশে দুই দফায় এই জনগণনা প্রক্রিয়া হবে। আর এই প্রক্রিয়া চালানোর জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সমগ্র প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইন মাধ্যমে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রী আরো জানান, এরমধ্যে জাতিগত গণনা যুক্ত হবে। জনগণনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন অশ্বিনী। ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে এই নতুন হিসাব কার্যকর হবে।
অশ্বিনী জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা হবে। বাড়ি, জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই প্রক্রিয়া চলবে। সংশ্লিষ্ট সরকারের সুবিধা অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এক-একটি জায়গায় গণনা সম্পন্ন করা হবে। এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হবে জনগণনা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং তুষারপাতের কারণে কয়েকটি জায়গায় জনগণনা সেরে ফেলা হবে ২০২৬-এর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। সেই তালিকায় রয়েছে লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ড।
এবারের জণগননা হবে ডিজিটাল। বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হবে। ইতিমধ্যে অ্যাপের কাজ চলছে বলে খবর। প্রাথমিক ভাবে মোবাইলের মাধ্যমেই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু যদি কোনও কারণে কেউ খাতায়কলমে তথ্য গ্রহণ করেন, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে সরাসরি তা নথিভুক্ত করতে হবে। এতে জটিলতা, ভুলের সম্ভাবনা অনেক কমবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊