বিহারের বধূদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে এসআইআর ফর্ম: সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়ছে অনিশ্চয়তা
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে বাংলা–বিহার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিবাহ সূত্রে আসা হাজার হাজার বিহারী বধূ আজ তীব্র দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এসআইআর প্রক্রিয়ায় নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২০০৩ সালের বাবা-মায়ের বিহারের ভোটার তালিকা জমা দিতে না পারায় ফর্ম পূরণে বাধার মুখে পড়ছেন তাঁরা। ফলে তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা ও বরুই, আর হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সাদলীচক, ইসলামপুর, দৌলতনগর ও সুলতাননগর—এই ছ’টি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে মোট ১৬৭টি বুথ। প্রতিটি বুথেই বহু সংখ্যক বিহারের বধূ বসবাস করেন। বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষনপুর ৩৩নং বুথের সঞ্জরি খাতুন ও তাবাসুম খাতুনদের কথায়, “১৫ বছর ধরে এখানেই ঘর-সংসার। স্থানীয় ভোটার কার্ডও আছে। কিন্তু বাবার ২০০৩ সালের বিহারের ভোটার তালিকা দিতে পারছি না। তাই শুধু নিজের তথ্য দিয়েই এসআইআর ফর্ম জমা করেছি। নাম বাদ পড়বে কিনা সেই দুশ্চিন্তায় আছি।”
বুথ পর্যবেক্ষকদের কাছেও একই চিত্র। বিষনপুর ৩৩নং বুথের বিএলও সোমনাথ মিত্র জানান, “এই বুথেই ২০ জনের বেশি বিহারী বধূ রয়েছেন। প্রায় সকলেই বাবা-মায়ের পুরনো ভোটার তালিকা দিতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ফর্ম জমা করছেন।”
সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে দিন দিন বাড়ছে অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপ। দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় বসবাস করলেও এসআইআরের নতুন শর্ত তাঁদের জন্য নতুন সমস্যার দরজা খুলে দিয়েছে। স্থানীয় মহলে দাবি—প্রশাসনকে দ্রুত এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা দূর করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊