পরমহংস হরিহরানন্দের পূণ্য তিথি উপলক্ষে দুই মহাযোগীর আধ্যাত্মিক সংযোগ স্থাপন
হবিবপুর (নদিয়া): সিদ্ধ যোগী পরমহংস হরিহরানন্দের ২৩তম পূণ্য তিথি দিবস উপলক্ষে নদিয়ার হবিবপুরের শ্রীগুরু জন্মভূমি মন্দিরে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে এক বিশেষ সৌজন্য সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়। এই সাক্ষাতে পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের দিব্য জীবন কথা ও বাণী সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাবলী তুলে দেওয়া হয় পরমহংস প্রজ্ঞানানন্দের হাতে।
মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ছিল অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন। সকালে পরমহংস হরিহরানন্দের প্রতি নিবেদিত গুরু পাদুকা পূজা এবং হবনের আয়োজন করা হয়। এর পরই মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরিবার, কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের পক্ষ থেকে পরমহংস প্রজ্ঞানানন্দের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ইংরেজি গ্রন্থাবলী। এই গ্রন্থটির নাম হল "The Levitating Saint", যা ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের মহাজীবন কথা এবং বাণী সংক্রান্ত।
এই সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পরিবারের এবং মঠ-মিশনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন শিবানী ভট্টাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ ছিলেন সমন্বয়ের এক মূর্ত প্রতীক। তাঁর সমন্বয়ের আদর্শকে সামনে রেখেই মঠ এবং মিশনের এই ধরনের জাতীয় প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
পরমহংস হরিহরানন্দের পূণ্য তিথি উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দুই মহাযোগীর আধ্যাত্মিক সংযোগ স্থাপনের এই উদ্যোগ উপস্থিত ভক্ত ও অনুরাগীদের মধ্যে বিশেষ তাৎপর্য সৃষ্টি করেছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊