টাকার বিনিময়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেওয়ার অভিযোগে দিনহাটায় আটক ১, 'নিশীথ ঘনিষ্ঠ' দাবি উদয়নের, 'উদ্দেশ্য প্রণোদিত সাঁজানো ঘটনা' দাবি বিজেপির
টাকার বিনিময়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেওয়ার অভিযোগে দিনহাটার কিশামত গ্রামে আটক এক ব্যক্তি। ঘটনা ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির নাম শ্যামল দাস। বাড়ি বাড়ি ঘুরে টাকার বিনিময়ে ২০০২-র ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেওয়ার কথা বলছেন তিনি এমনটাই অভিযোগ। এদিন এক ব্যক্তির বাড়িতে যান ওই ব্যক্তি, তাঁদের ২০০২-র লিস্টে নাম নেই তা কিছু খরচের বিনিময়ে তুলে দিতেও চান বলে দাবি করেন বাড়ির মালিক। এদিকে, শ্যামল দাস নামের ওই ব্যক্তি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট করেন উদয়ন গুহ। যদিও এবিষয়ে বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিকের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এই ঘটনা সাজানো এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলেই দাবি কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি বিরাজ বোসের।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামল দাস আজ দিনহাটা দুই নং ব্লকের কিশামতদশ গ্ৰামের বানিরাম বর্মনের বাড়িতে যান। অভিযোগ, বানিরাম বর্মন ভাই এর ২০০২ সালে ভোটার লিস্টের নাম নেই সেই ভোটার লিস্টের নাম তুলে দেওয়ার কথা বললে শ্যামল দাস তাকে ভাইয়ের যাবতীয় ডকুমেন্ট নিয়ে অফিসে যেতে হবে বলেন এবং অফিসে গিয়ে যা খরচা অফিসে দিতে হবে এমনটাই বলেন। এদিকে এলাকার মানুষজন ওই ব্যক্তির সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এবিষয়ে শ্যামল দাস নিজে জানান, তিনি কারো কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে তাঁদের সাহায্য করেন। তবে কেউ ডাকলে তিনি যান না মানুষেই তাঁর বাড়িতে আসে। তাঁদের ফর্ম ফিলাপ করা থেকে ইত্যাদি কাজ করে দেন তিনি। তবে এদিন কেন এলেন? তিনি জানান, কাগজপত্রে গণ্ডগোল আছে বলে আমাকে ডাকা হয়, চা খেয়ে এবিষয়ে কথা বলার জন্য। তিনি বলেন, আমি বলি এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের কাজ করি সেই রিলেটেড কোনো কাজ থাকলে তিনি করে দিতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি শ্যামল দাসের।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন ফেসবুকে পোস্ট করে বলেন, "বামনহাটের শ্যামল দাস কিশামতগ্রামে ভোটার লিস্টের নাম তোলার বিনিময় ৫ হাজার টাকা করে দাবী করছে। তারপরই সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ অন্য কথা বলছে। পুলিশের দাবী, এধরনের অভিযোগ আসেনি, তবে শ্যামল দাসের নামে পুরনো মামলায় থাকার কারণে শ্যামল দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"
এবিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বিরাজ বোস ঘটনাটিকে সাজানো বলেই ব্যাখা করেছেন। তিনি বলেন, "উনি ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন এ বিজেপি করে, দিনহাটায় বিরোধী দল করা যাবে না ফরমান দিয়েছেন। কেউ বিরোধী দল করলে তৃণমূলের হার্মাদরা তাঁকে শায়েস্তা করবে নচেৎ পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা কোনো মামলায় বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হবে। এটাই দিনহাটার পরিস্থিতি। সকলেই জানে নির্বাচন কমিশনের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সবকিছু হচ্ছে সেখানে ও একজন সাধারণ মানুষ যে কিনা ২০০২-এর ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে তুলে দেবে এটা অলীক কল্পনা। সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ তৃণমূল কর্মীদের দ্বারা করানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে পুলিশকে দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা।"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊