শ্রীশ্রীভাদুড়ী মহাশয় - মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের মহাসমাধি দিবসে...
-সাধন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি ভাদুড়ী মহাশয় - মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ - আধ্যাত্মিকতার পথে অগ্রসর হতে চাওয়া সবার পথপ্রদর্শক। নিজে ছিলেন যোগমার্গের সিদ্ধসাধক। কিন্তু সবার জন্য তিনি যে আদর্শ রেখে গেছেন - সে আদর্শের মূল কথা যোগ এবং ভক্তির সমন্বয়।
"The Levitating Saint" হিসেবে সর্বজনের কাছে পরিচিত ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ সম্পূর্ণ সজ্ঞানে পদ্মাসনে বসে রাম নাম শুনতে শুনতে ২ নভেম্বর ব্রহ্মলীন হন। সালটি ছিল ১৯২৬। যাঁর ক্ষেত্রে প্রতিমুহূর্তে সত্য - "ব্রহ্মবিদ্ ব্রহ্মৈব ভবতি" সেই ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারী - মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের মানসপুত্র - মহর্ষির দেহ পরের দিন কলকাতার নিমতলা ঘাটে সৎকার করেন।
হরিহরের অবতার হিসেবে ভক্তদের কাছে পূজিত এই মহামানবের মহাসমাধি দিবস তাঁর অনুসারীদের কাছে নিয়ে আসে আধ্যাত্মিক উপলব্ধির বার্তা। এই উপলব্ধিতে যোগ এবং ভক্তি পাশাপাশি বহমান। ভক্তির সে প্রকাশে সত্য - নাম সংকীর্তন।
তাঁর মতে এ যুগে প্রয়োজন শ্রীভগবানের পাদপদ্মে সর্বস্ব সমর্পণ :
“তব কথামৃতং তপ্ত-জীবনম্”—যদি তোমার কথা দর্শনের সহিত হয়, তবেই অমৃত-স্বরূপ, তোমার কথা-শ্রবণ যদি দর্শনের সহিত না হয়, তবেই তাহা মৃত অর্থাৎ মরণের সোপান-স্বরূপ হয়।
ডাক্তার ও ডিসপেন্সারী রোগীর জন্য তেমনি ভগবান্ পাপী-তাপীর জন্য দরকার। যদি বল রোগ, শোক, পাপ, তাপ থাকতে কি ক’রে ডা’কব? ভগবান্ বলেন—তোর যা আছে তাই দে আমাকে। এখন শুধু ভক্তবৎসল নহি এখন আমার একটি নাম হ’য়েছে অভক্তবৎসল।"
-এই পথেরই নির্দেশ তাঁর অন্যান্য বাণীও - তাঁর জীবন্ত প্রকাশ।
( এটি লেখকের অপ্রকাশিত রচনা। )

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊