কোচবিহার রাসমেলা মাঠ পরিদর্শনে জেলাশাসক-পুলিশ সুপার, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হবে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব— কোচবিহারের রাস উৎসব। ১৫ দিন ব্যাপী এই রাসমেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ, সোমবার, রাসমেলা মাঠ পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক রাজু মিশ্রা এবং পুলিশ সুপার সন্দীপ কাররা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক ও কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
গত দুইদিন ধরে কোচবিহারে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় রাসমেলা মাঠের প্রস্তুতিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, লাগাতার বৃষ্টির জেরে মেলা মাঠের বিভিন্ন স্থানে এখনও বৃষ্টির জল জমে রয়েছে এবং বেশ কিছু জায়গায় কাদা সৃষ্টি হয়েছে। মেলা শুরুর ঠিক আগে মাঠের এই পরিস্থিতি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কর্তৃপক্ষের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলাশাসক রাজু মিশ্রা এবং পুলিশ সুপার সন্দীপ কাররা মাঠের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা মূলত তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেন:
১. মাঠের অবস্থা: বৃষ্টির জল নিষ্কাশন ও কাদা দ্রুত শুকিয়ে মেলা শুরু করার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা।
২. নিরাপত্তা: ১৫ দিন ব্যাপী এই মেলায় অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
৩. পরিকাঠামো: মেলায় আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের জন্য বিদ্যুৎ, পানীয় জল, এবং স্যানিটেশন-এর মতো জরুরি পরিষেবাগুলি নিশ্চিত করা।
কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য পুরসভার কর্মীরা কাজ করছে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে মেলা পরিচালনার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেলা মাঠের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।
কোচবিহারের এই রাস উৎসব শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ একটি মেলা যা বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পীর জীবিকার সঙ্গেও যুক্ত। তাই উৎসব শুরু হওয়ার আগে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পৌরসভার এই যৌথ পরিদর্শন মেলার সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য প্রশাসনের তৎপরতাকেই তুলে ধরল।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊