‘দলকে শক্তিশালী করতে পথে নামব’, তৃণমূলে ফিরে আর কি বললেন শোভন?
দীর্ঘ সাত বছর পর বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল ভবনে অরূপ বিশ্বাস ও সুব্রত বক্সির হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন তিনি।
এদিন অরূপ বিশ্বাস বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ার জন্য তাঁরা আবেদন করেছিলেন। আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে অনুমোদনে সুব্রত বক্সি তাঁদের হাতে পতাকা দেন। আসলে শোভন ঘরের ছেলে। তিনি আবার ঘরে ফিরলেন। আজ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে তাঁরা কাজ করবেন।” সুব্রত বক্সি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা শোভন-বৈশাখীকে দলে স্বাগত জানাই।”
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, “যদি আমার শিরা, ধমনি বলেন আর তৃণমূল কংগ্রেস – আমার নিজের ঘর, নিজের সংসার। আমার আত্মিক যোগ। ঘরের ছেলে হিসাবে পুনরায় শামিল হলাম। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার জন্য। আমার সামর্থ্য মতো তৃণমূলের পাশে থাকব। যেভাবে মমতা, অভিষেক চাইবেন। বক্সিদা চাইবেন। অরূপ আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। যে দায়িত্ব আমাকে দল থেকে দেওয়া হবে, সেই অনুযায়ী কাজ করব। আমার চেষ্টার কোথাও কোনও ত্রুটি রাখব না। সুন্দর ঘরকে আমার সমগ্র শক্তি দিয়ে আরও শক্তিশালী করে তুলব – এটা আমার দায়িত্ব, কর্তব্য।”
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।আচমকাই কলকাতার মেয়র পদ ছেড়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আরও দুই দপ্তরের মন্ত্রিত্বও ছাড়েন তিনি। ২০১৯ সালে দিল্লি গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ২০২০ সালে বঙ্গ বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদও পান দু’জনে। একুশের বিধানসভা ভোটে তাঁদের তারকা প্রচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। কিন্তু  গেরুয়া শিবিরে খুব বেশিদিন থাকেনননি শোভন-বৈশাখী।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊