কোচবিহারে বিজেপির BLA-২ এজেন্টদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ, জেলা শাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি
কোচবিহারের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা। সোমবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের প্রশাসনিক উদ্যোগে আয়োজিত বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ-২) প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে আসা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিজেপির এক কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের অফিসে সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএলএ-২ এজেন্টদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। বিজেপির এজেন্টরা যখন এই সরকারি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন, অভিযোগ ওঠে তখনই তৃণমূল আশ্রিত কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় এক বিজেপি কর্মী আহত হন। এই ধরনের একটি প্রশাসনিক কর্মসূচিতে হামলা হওয়ায় বিজেপি শিবির তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিকেলে কোচবিহার জেলা বিজেপির নেতৃত্ব জেলা শাসকের দপ্তরে যান এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উপস্থিত নেতৃত্ব: জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন, দক্ষিণ কোচবিহার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, উত্তর কোচবিহার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার রায়, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, বিজেপি নেতা বিরাজ বসু সহ জেলা স্তরের অন্যান্য নেতৃত্ব এই ডেপুটেশনে অংশ নেন।
বিজেপি নেতৃত্বদের স্পষ্ট অভিযোগ, আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গেছে এবং তাদের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে। সেই কারণেই প্রশাসনিক প্রশিক্ষণের মতো সরকারি কর্মসূচিতেও তারা বাধা সৃষ্টি করছে এবং হামলা চালাচ্ছে।
বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমরা জেলা শাসকের দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বর্তমানে বাইরে থাকায় দপ্তরে আমাদের ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা রাখছি প্রশাসন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।”
জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি, বিজেপি নেতৃত্ব এই হামলার ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের কাছেও তুলে ধরার ঘোষণা করেছেন, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এই ধরনের রাজনৈতিক হিংসা রুখে দেওয়া যায়।
এছাড়াও, বিজেপি নেতৃত্ব জেলা শাসকের কাছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি রাখেন। তারা এসআইআর (ভোটার তালিকা সংশোধনের) কাজ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊