অলৌকিক প্রত্যাবর্তন: ১৩ বছর পর ‘মৃত’ দীপু ফিরে এল জীবিত
উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলার ঔরঙ্গাবাদ থানার সুরজপুর টিকরি গ্রামে ঘটেছে এক অভাবনীয় ঘটনা, যা মায়ের অটল বিশ্বাস এবং অলৌকিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। ১৩ বছর আগে সাপের কামড়ে মৃত বলে ধরে নেওয়া দীপু সাইনিকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছরখানেক আগে হরিয়ানার পালওয়ালের বাঙালি বাবার আশ্রমে তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।
দীপুর বাবা সুখপাল সাইনি জানান, খড়ের গাদা থেকে কাস্তে তুলতে গিয়ে দীপুকে সাপে কামড়ায়। হাসপাতালে এবং পরে সাপের কামড় নিরাময় কেন্দ্রে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবারের সম্মতিতে তার দেহ ব্রজঘাটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দীপুর মা সুমন দেবী বিশ্বাস হারাননি। তিনি মনে করতেন, গঙ্গায় দেহ ভাসানোর পর সর্পযাত্রীরা তাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। সেই বিশ্বাসে তিনি ও তার স্বামী দীপুর খোঁজে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান।
এক বছর আগে তারা পালওয়ালের আশ্রমে গিয়ে দীপুর কানের পিছনে থাকা জন্মচিহ্ন দেখে তাকে শনাক্ত করেন। জানা যায়, সর্পযাত্রীরা দীপুর দেহ উদ্ধার করে বাংলার এক গুরুর কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান, যেখানে অলৌকিকভাবে সে জীবিত হয়ে ওঠে। চিকিৎসার পর ছয় বছর আগে তাকে পালওয়াল আশ্রমে ফিরিয়ে আনা হয়।
শনিবার আশ্রমের সাধুরা দীপুকে তার গ্রামে নিয়ে আসেন। পরিবারের সঙ্গে আবেগঘন পুনর্মিলন হয়, কিন্তু সন্ধ্যায় তাকে আবার আশ্রমে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। দীপু জানান, সে এখন বিবাহিত, তার স্ত্রী অনিতা এবং তিন সন্তান রয়েছে। সে বর্তমানে শিবিরের লোকদের সঙ্গে সাপ ধরার কাজ করে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊