হাওড়ার গঙ্গার ঘাটে মহা সমারোহে ছট পূজা: পুণ্যার্থীদের ভিড়, নেতৃত্ব দিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়
সুরশ্রী ব্যানার্জী, হাওড়াঃ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন শ্রী অরূপ রায় মহাশয়ের নেতৃত্বে এ বছর হাওড়ার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে ছট পূজা মহা সমারোহে পালিত হলো। উৎসবের আমেজে বাংলা যখন দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর মাঝে রয়েছে, তখন ছটপুজোর এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।
রামকৃষ্ণপুর ঘাট, শিবপুর ঘাট, বিচালী ঘাট, টোপিওয়ালা ঘাট এবং তৎসংলগ্ন গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন ঘাটে প্রায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে তাঁদের ধর্মীয় আচার পালন করলেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মন্ত্রী শ্রী অরূপ রায় মহাশয় গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি উপস্থিত সকল সুধী ও সজ্জনমন্ডলীকে পবিত্র ছট পূজার আন্তরিক শুভেচ্ছাও জ্ঞাপন করেন।
ছট পূজা চার দিন ধরে চলে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবের প্রথম দিন ছিল নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা এবং তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় দেওয়া হয় সন্ধ্যা অর্ঘ্য। আজ, উৎসবের শেষ দিন, লক্ষ লক্ষ মানুষ সূর্যোদয় অর্ঘ্য নিবেদন করে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। এরপর ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করে দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ ঘণ্টার নির্জলা উপবাস ভঙ্গ করেন। এই চার দিন প্রতিটি নিয়ম কঠোর ভাবে মেনে চলা হয় এবং ভক্তরা সূর্যের কাছে নিজেদের মনস্কামনা জানান।
ছট পুজো নানা নামে পরিচিত—'ছটি', 'ছট পরব', 'ডালা ছট' বা 'সূর্য ষষ্ঠী'। এই পুজোয় সূর্যদেবের সঙ্গে তাঁর দুই পত্নী ঊষা ও প্রত্যুষারও উপাসনা করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, ঊষা ও প্রত্যুষা হলেন সূর্যের ছটা, তাই সূর্য দেবতা ভক্তদের কাছে 'ছট মাইয়া' হয়ে ওঠেন। অন্য একটি মতে, 'ছট' হলো সূর্যদেবের পাশাপাশি ষষ্ঠী দেবী (ছঠি মাইয়া)-র আরাধনার উৎসব। ষষ্ঠী দেবীকে সন্তান ও মাতৃত্বের দেবী এবং সূর্যদেবের বোন হিসেবেও গণ্য করা হয়। এই উৎসব বাঙালির জীবনে এক নতুন উৎসবের ছোঁয়া নিয়ে এল।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊