ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ, মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা
মাথাভাঙা: ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসকের চরম গাফিলতির অভিযোগে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে এক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মৃতার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, শীতলকুচির ভাঐরথানা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙধর এলাকার বাসিন্দা কল্যানী বর্মন নামে ওই গর্ভবতী মহিলাকে প্রসবের জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান যে সেদিনই সিজার করা হবে। সেই অনুযায়ী, সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি)-তে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু, প্রায় ৬ ঘণ্টা পর, সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ কল্যানী বর্মনকে ওটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, সেই সময় মহিলার মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। অভিযোগ, এই সময়ে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক উল্টে রোগীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাঁরা রোগীকে আগে দেখাননি, এবং এই নিয়ে তাঁদের গালিগালাজও করা হয়।
এরপর রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কোচবিহারে রেফার করা হয়। কিন্তু কোচবিহার নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়।
পরে রবিবার রাতেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ফিরে আসেন এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে তীব্র প্রতিবাদ জানান। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মাথাভাঙা থানায় এবং হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানান, তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের পাশাপাশি চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊