SIR-এর আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা দিনহাটায়! চাঞ্চল্য
দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে SIR। নির্বাচন কমিশন বাংলাতেও এস আই আর এর ঘোষনা দিয়েছে। আর সেই SIR এ ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, আত্মহত্যার চেষ্টার পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে তাঁর বাড়ি দিনহাটা দুই নং ব্লকের বুড়িরহাট এলাকায়। ঘটনায় ওই ব্যক্তি জানান তাঁর নামের মধ্যে গণ্ডগোল আছে। ২০০২ সালে ভোটার লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে খয়রু সেখ কিন্তু বর্তমানের ডিজিটাল ভোটার কার্ডে নাম রয়েছে খাইরুল সেখ। আর এই ভুল নিয়েই চিন্তিত হয়ে আতঙ্কে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর বয়স ৬৩ বছর।
ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি সাহস দেন ও আশ্বস্ত করেন।
বর্তমানে তিনি কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় প্রচন্ড চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার বিবরণে এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বুড়িরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতপুর এলাকার বাসিন্দা খায়রুল শেখ। তার নামের সঙ্গে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার নামের হেরফের রয়েছে। ফলে তিনি বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিন তিনি নিজের বাড়িতে কিটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেড়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দিনহাটা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করিয়ে দেয়। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় তাকে কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে খাইরুল শেখ বলেন, ভোটের কার্ডের আমার নামের সঙ্গে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার নামের মিল ছিল না। কি করব তা বুঝতে পারছিলাম না। তাইতো কিছু না বুঝেই বিষ খেয়ে ফেলেছিলাম। এদিন খাইরুল শেখের আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বিষপানের খবর পেয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কোচবিহার এম জি এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
তৃণমূল নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, দিনহাটার জিতপুর এলাকার বাসিন্দা খাইরুল সেখ। তার নামের নথিপত্রে কিছু গন্ডগোল ছিল। বিষয়টি নিয়ে সে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাইতো তিনি আতঙ্ক হয়ে বিষ পান করেন। তিনি বলেন, এস আই আর নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ যাতে আতঙ্কগ্রস্ত না হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল মানুষকে বিষয়টি বোঝানো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটা প্যানিক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, লক্ষদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান নিকোবর। এই ১২ রাজ্যে ৫১ কোটি ভোটারের তালিকার এসআইআর হবে। কমিশনার জ্ঞানেশ জানিয়েছেন, ১৯৫১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশে এসআইআর হয়েছে আট বার। ২১ বছর আগে শেষ বার এসআইআর হয়েছে— ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊