ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল 'ফাইনাল রিটেন সাবমিশন'- 'ডিএ আইনত অধিকার' দাবিতে অনড় কর্মচারী সংগঠন
নয়া দিল্লি/কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১ পাতার 'ফাইনাল রিটেন সাবমিশন' জমা দিল কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজ (আইএনটিইউসি)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এই সাবমিশন জমা দেওয়া হয়, যেখানে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডিএ-কে 'আইনত বলবৎযোগ্য অধিকার' হিসেবে প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়েছে।
সংগঠনের নেতা শ্যামল কুমার মিত্র এবং মলয় মুখোপাধ্যায় কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বার্তায় জানান, জমা দেওয়া সাবমিশনটিতে মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে:
১. ROPA-২০০৯ এবং AICPI মান্যতা না দেওয়া
সাবমিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ROPA-২০০৯ অনুযায়ী অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) মেনে যে ডিএ দেওয়ার কথা ছিল, তা রাজ্যের মন্ত্রিসভায় গৃহীত হওয়া সত্ত্বেও কার্যক্ষেত্রে তা মান্যতা দেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার স্বয়ং নিজেদের গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২. হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় এবং 'SLP' না করার যুক্তি
কর্মচারী সংগঠন তাদের সাবমিশনে হাইকোর্টের রায়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বলা হয়েছে, স্যাটের প্রথম মামলায় হেরে যাওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল মামলা (৩১.০৮.২০১৮) এবং তৎপরবর্তী রিভিউ মামলায় (০৮.০৩.২০১৯) বিচারপতি দেবাশীষ করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি সরাফ-এর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছিল যে, "DA was a legally enforceable right" (ডিএ একটি আইনত বলবৎযোগ্য অধিকার)। এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ আদালতে কোনও এসএলপি (SLP) অর্থাৎ বিশেষ অনুমতি নিয়ে আপিল করেনি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে ডিএ-এর 'আইনত বলবৎযোগ্য অধিকার' হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, এমনটাই মনে করছে সংগঠন।
৩. কেন্দ্র-রাজ্যের ডিএ গণনার অভিন্ন সূত্র
সাবমিশনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে, বিগত বেতন কমিশনগুলোতে বরাবরই দেখা গিয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একই ফর্মুলায় ডিএ গণনা করে এসেছে। রাজ্য সরকার কখনোই নিজের মতো করে আলাদা কোনো ডিএ ক্যালকুলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেনি। এই অভিন্নতা বজায় রাখার দাবিও জানানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊